কয়েদির সঙ্গে চুম্বন করার ভিডিয়ো ফাঁস হতেই মহাবিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন আর্জেন্তিনার (Argentina) এক মহিলা বিচারক। সে দেশের দক্ষিণ চুবুত প্রদেশের এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মহিলা বিচারকের নাম, মারিয়েল সুয়ারেজ় (Mariel Suarez)। কয়েদি ক্রিশ্চিয়ান মাই বুস্তোজ়ের (Cristian Mai Bustos) নামে এক পুলিশ অফিসারকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। প্রমাণিতও হয়েছিল সেই অভিযোগ। আর সেই কারণেই কারাবন্দি ছিল অপরাধী ক্রিশ্চিয়ান। তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে কি না, সেই শুনানির কয়েক প্রহর আগেই বিচারক ও কয়েদির মধ্য়ে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে বলে সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেল-এর একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর এই ভিডিয়ো ফুটেজটি উঠেছিল বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
VIDEO DOCUMENTO.
AMIGOS ARGENTINA TOCO FONDO.
JUEZA QUE INTEGRO TRIBUNAL QUE CONDENO A PERPETUA AL ASESINO DE UN POLICIA EN CHUBUT, FUE HACERLE MATE Y MIMOS A LA PRISION AL CONDENADO. FUE SUMARIADA.
LA JUEZA SE LLAMA, MARIEL ALEJANDRA SUAREZ. pic.twitter.com/Gf07UEIA1H
— MARCELO FAVA (@MARCELOFAVAOK) January 4, 2022
কয়েক দিন আগেই ডেইলি মেল আর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, এক দোষীকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি থেকে বাঁচিয়েছেন মারিয়েল নামের আর্জেন্তিনার এক বিচারক। শুনানির ঠিক এক সপ্তাহ আগেই বিচারক এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই মারিয়েল এবং পুলিশ অফিসার খুনে দোষী সাব্যস্ত ক্রিশ্চিয়ান মাই বুস্তোজ়ের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়োই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
২০০৯ সালে পুলিশ অফিসার লিওনার্দো টিটো রবার্টসকে খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল বুস্তোজ়ের। আর্জেন্তিনার দক্ষিণ চুবুত প্রদেশের একটি আদালাতে মামলা চলছিল। যে বিচারকের প্যানেল বুস্তোজ়কে দোষী সাব্যস্ত করেছিল, সেই দলে ছিলেন মারিয়েল সুয়ারেজ়ও। কিন্তু সেই প্যানেলে তিনিই একমাত্র বিচারক ছিলেন, যিনি বুস্তোজ়ের মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়। খুব ভাল ভাবেই তাঁর কাছে একটি বিষয় পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছিল যে, “বুস্তোজ় এক বিপজ্জনক বন্দি।” মারিয়েলের কারণেই বুস্তোজ়কে শেষমেশ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যা লাগু হয়েছে গত সপ্তাহ থেকে।
আর্জেন্তিনার জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম বুয়ানোজ় আইয়ারেজ় টাইমস-এর সাংবাদিক টোডো নোটিসিয়াসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বিচারক সুয়ারেজ় দাবি করেছেন, “সেই তখনই আমি তাকে প্রথম বার দেখি। তার মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি নিয়েই কথা হচ্ছিল। আমি তার কাছে ছুটে গিয়েছিলাম এটা বলতে যে, আমি তাকে নিয়েই একটা বই লিখছি এবং তার সাক্ষাৎকারেরও বন্দোবস্ত করেছি।” সুয়ারেজ় আরও দাবি করেছেন, “ওই বন্দির সঙ্গে আমার কোনও আবেগপূর্ণ সম্পর্ক নেই।” বই লেখার কারণেই যে জেলের ভিতরে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, সে কথাটাও খোলসা করে দিয়েছেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে চুবুত প্রদেশের ওই আদালত কর্তৃপক্ষ তথাকথিত ‘অনুপযুক্ত আচরণ’-এর জন্য় শাস্তিমূলক কার্যক্রম শুরু করেছে বলে রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে। সর্বোচ্চ বিচারক দাবি করেছেন, “কোমোডোরো রিভাদাবিয়ার এক ক্রিমিনাল জাস্টিস একটি মিটিংয়ের আয়োজন করেছিলেন এই বিষয়ে। আদালতে সেই মিটিংয়ে হাজির হয়েছিলেন মন্ত্রীরাও। কুখ্যাত এই দুষ্কৃতির বিচার নিয়েই সেখানে আলোচনা হয়েছিল। তবে তার আগে এসকুয়েল শহরে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে সম্প্রতি প্রকাশ্য়ে এসে এই ভিডিয়ো নিয়ে তীব্র নিন্দা করা হয়েছিল। সেই কারণেই মিটিংটি আয়োজন করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে যায়। পরবর্তীতেও আমরা এই বিষয় নিয়ে বেশ কয়েক বার মিটিং করব।”
আরও পড়ুন: সাপের সঙ্গে ছেলেখেলা! ভয়ঙ্কর পরিণতির ভিডিয়ো দেখে আঁতকে উঠলেন নেটপাড়ার লোকজন
আরও পড়ুন: ফিল্মি কায়দায় বিয়ের চিঠি বিলি করলেন এই যুগল, ভিডিয়ো দেখে চোখ কপালে নেটিজে়নদের
আরও পড়ুন: পথের কুকুরদের সঙ্গেই জন্মদিন পালন ঘরবাড়িহীন যুবকের, ভিডিয়ো দেখে আবেগে ভাসলেন নেটিজ়েনরা