Kazi Najrul University: কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটি থেকে পদত্যাগ ২২ অধ্যাপকের
অবিলম্বে জটিলতা মেটানো না গেলে আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আসানসোল: কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে (Kazi Najrul University) অচলাবস্থার আশঙ্কা! বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন একসঙ্গে ২২ জন অধ্যাপক। ডিএ (DA)-র দাবিতে অধ্যাপকেরা যে ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন, তা নিয়ে উপাচার্যের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেই পদত্যাগ করলেন এঁরা। বিভিন্ন কমিটি থেকে ইস্তফা দেওয়ার আগে উপাচার্যের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন ২২ জন অধ্যাপক। ফলে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের (Asansol) কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কমিটিগুলি থেকে ২২ জন অধ্যাপক ইস্তফা দিয়েছেন সেগুলির মধ্যে রয়েছে, ক্যান্টিন, স্পোর্টস, মিউজিয়াম, এনএসএস ইত্যাদি। এক-একটি কমিটি থেকে একইসঙ্গে আহ্বায়ক, আধিকারিক, সহকারী আধিকারিক পদত্যাগ করেছেন। ফলে অবিলম্বে জটিলতা মেটানো না গেলে আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঠিক কী নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত? মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ-র (DA) দাবিতে গত ১০ মার্চ ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সহ বহু অধ্যাপক। এরপর রেজিস্ট্রার সেই ধর্মঘটে অনুপস্থিত কর্মীদের সরকারি নির্দেশনামা উপেক্ষা করে পুরো বেতন দেওয়ার বন্দোবস্ত করেন এবং সেদিনের অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার অর্থ মন্ত্রকে পাঠাতে অসহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রেজিস্ট্রারকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নোটিস দেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. সাধন চক্রবর্তী। এমনকি মঙ্গলবার রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে গেলে উচ্চ অধিকারিককে দিয়ে তাঁকে আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা প্রতিবাদের নেমে পড়েন। রেজিস্ট্রারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত নোটিস প্রত্যাহারের দাবি তোলা হয়। গোটা বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে অভিযোগ তুলে থানায় যান চন্দন কোনার। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এবার রেজিস্ট্রারকে সমর্থন জানিয়ে এবং উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন ২২ জন অধ্যাপক। এর আগে তাঁরা এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের কাছেও উপাচার্যের বিরুদ্ধে দ্বারস্থ হয়েছিলেন।