Adhir Chowdhury: ‘পয়সা দিলেই আরটি-পিসিআর রিপোর্ট পাওয়া যায় কলকাতায়’, গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে ক্ষুব্ধ অধীর
Adhir Chowdhury: গঙ্গাসাগর মেলা থেকে পুর নির্বাচন, সব ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন অধীর।
মুর্শিদাবাদ : করোনা পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা (Ganga Sagar Mela 2022) কেন করা হচ্ছে। তা, নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তবে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে আগেই মেলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল, আর মঙ্গলবার ফের আদালত সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে গঙ্গাসাগর মেলায়। তবে শর্তে কিছু রদবদল আনা হয়েছে। কোভিড নেগেটিভ হলে তবেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে মেলায়। আর এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) দাবি, কলকাতায় পয়সা দিলেই আরটি-পিসিআর রিপোর্ট পাওয়া যায়। গঙ্গাসাগর মেলা যেন করোনা সংক্রমণের মেলা না হয়ে যায়, এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘গঙ্গাসাগর মেলা যদি করোনা সংক্রমণের মেলা হয়ে ওঠে, তাহলে ভবিষ্যতে মেলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।’ তাঁর কথায়, ‘রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পরিকাঠামো নেই রাজ্য সরকারের।’ তিনি উল্লেখ করেন, রাজ্যে পরপর হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাই মানুষ অসুস্থ হলে কী ভাবে পরিষেবা দেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
তবে শাসক দলের দাবি, আদালতের দেওয়া শর্ত মেনেই হবে মেলা। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘আদালত যে ভাবে নির্দেশ দিয়েছে, সে ভাবেই মেলা হবে।’ পাশাপাশি, হাইকোর্টের নির্দেশে গঙ্গাসাগর মেলার জন্য তৈরি কমিটি থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাদ পড়ায় খুশি শাসক দল। তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। যাঁরা এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, তাঁদেরই এই কমিটিতে থাকা উচিৎ।’
কী শর্ত দিল হাইকোর্ট
গোটা গঙ্গাসাগর এলাকাকেই ‘নোটিফায়েড এরিয়া’ ঘোষণা করার কথা বলেছে আদালত অর্থাৎ পুরো এলাকাতেই রাজ্যের বিধি কায়েম হতে পারে যে কোনও সময়।
জোড়া টিকা ও শংসাপত্র না থাকলে কাউকেই মেলা প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে না।
মোলায় প্রবেশ করার ৭২ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ আসতে হবে।
হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে কিনা, তা দেখার দায়িত্ব মুখ্যসচিব।
এ দিন শুভেন্দুকে বাদ দিয়ে ২ সদস্যের কমিটি গঠন করার কথা বলেছে আদালত।
উল্লেখ্য, এ দিন পুরভোট নিয়েও মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন অধীর। তাঁর দাবি, রাজ্যের পুলিশ যখন ভোট করাচ্ছে, তখন যে কোনও ভোটেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হবেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি উল্লেখ করেন, দিদি চাইছেন বলেই ভোট পিছোতে চাইছেন না নির্বাচন কমিশনার।
আরও পড়ুন : Corona in Kolkata: সব বিভাগ সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না, স্বাস্থ্য ভবনকে সাফ জানাল বিসি রায় শিশু হাসপাতাল