RPF : রাতের স্টেশনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি একদল যুবক-যুবতীর, জিজ্ঞাসাবাদ করতেই অবাক RPF

RPF : আলিপুরদুয়ারে রোহিঙ্গা সন্দেহে গ্রেফতার ৬ রোহিঙ্গা, গ্রেফতার করল আরপিএফ।

RPF : রাতের স্টেশনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি একদল যুবক-যুবতীর, জিজ্ঞাসাবাদ করতেই অবাক RPF
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 12, 2023 | 8:20 PM

আলিপুরদুয়ার : ২০১৭  সালে মায়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যা (Rohingya problem in Myanmar) মাথা ব্যথা বাড়িয়েছিল গোটা বিশ্বের। প্রশ্নের মুখে পড়েছিল মায়ানমার সরকারের ভূমিকা। তবে সেই সময় মায়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের জন্য দরজা খুলেছিল বাংলাদেশ। তবে তা নিয়ে ওপার বাংলার রাজমৈতিক মহলেও বিস্তর চর্চা হয়েছিল। বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল, তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে উঠে আসে নানা মত। বিতর্কের ঝড় আজও অব্যাহত। এদিকে এরইমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) রোহিঙ্গা সন্দেহে ৬ জনকে গ্রেফতার করল রেল পুলিশ (Rail Police RPF)। সূত্রের খবর, বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ৪ যুবতী ও দুই যুবককে আলিপুরদুয়ার স্টেশনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে রেল পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁদের বক্তব্যে কিছু অসঙ্গতি দেখা যায় বলে খবর। সূত্রের খবর, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁরা পুলিশকে জানায় তাঁরা জেলারই বাসিন্দা। আধার কার্ডও দেখায়। কিন্তু, ৬ জনের যে আধার কার্ড পুলিশের হাতে এসেছে তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। আরপিএফের দাবি, এগুলি সবই জাল আধার কার্ড। ভারতে ঢুকতেই এগুলি তৈরি করা হয়েছে। 

এমমকী কোনও আধার কার্ডে ওই ছয় জনের অভিভাবকের নাম নেই। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে মেঘালয়েই তাঁরা সীমান্ত পার করে ভারতে ঢোকে। এরপর গুয়াহাটি থেকে শিয়ালদাগামী ডাউন কাঞ্চনজংঘা এক্সপ্রেসে চড়ে নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে নামে। সেখান থেকে চলে যায় আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে। সেখানেই ইতস্তত ভাবে তাঁদের ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের জওয়ানদের। জেরায় তাদের কথায় অসঙ্গতি মেলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে নামে জিআরপি-ও। তদন্তে পুলিশ এও জানতে পেরেছে আলিপুরদুয়ার থেকে তাঁদের দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু, তার আগেই পড়ে যায় পুলিশের নজরে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ১৪-এ ফরেনার্স অ্যাক্ট এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৮ এবং ৪৭১ ধারা বলে মামলা রুজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলে জিআরপি।

ঘটনা প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ারের আরপিএফের পদস্থ কর্তা দীপক কুমার চৌধুরী বলেন, “রাত ৯টা নাগাদ ওরা স্টেশনে ঘোরাফেরা করছিল। সেই সময় স্টেশনে কোনও ট্রেন ছিল না। ওদের দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু, কোথায় যাবে, কোথা থেকে এসেছে এখানে সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারেনি। ওদের কথায় আরও অনেক অসঙ্গতি দেখতে পাওয়া যায়। কথা শুনে বোঝা যায় এখানে আসতে কোনও এক ব্যক্তি তাঁদের সাহায্য করেছে। পরবর্তীতে থানায় নিয়ে এসে ফের জেরা করা হয়। তখনই জানা যায় ওরা বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে এসেছে। ওখানে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প আছে। সেখান থেকেই অনুপ্রবেশ করেছে এ দেশে। ওরা যে আধার কার্ড দিয়েছে সেগুলি সব ভুয়ো। ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে পেরে এরপরই আমরা ওদের রাজ্য পুলিশের হাতে তুলে দিই।”