Alipurduar: জঙ্গল কেটে রিসর্ট? ব্যবস্থা কোথায়? উঠছে প্রশ্ন
Alipurduar: চিলাপাতা জঙ্গলে দুএকটি বেআইনি রিসোর্ট বছর খানেক আগে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল বনদফতর। তারপরও থেমে নেই চিলাপাতায় বিল্ডিং নির্মাণ। এখন জঙ্গল ঘেঁষে টেন্ট হাউস নাম দিয়ে চলছে নির্মাণযজ্ঞ। এই নির্মাণে তাঁরা অনুমতি পাচ্ছেন কোথায়? উত্তর কারও জানা নেই।

আলিপুরদুয়ার: চিলাপাতা জঙ্গলের গা ঘেঁষে বেআইনি রিসোর্ট।এমনকি সুইমিং পুল।এবার কংক্রিটের জঙ্গলে ছেয়ে গেছে জলদাপাড়ার চিলাপাতা বনাঞ্চল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ। তবে ব্যবস্থা কোথায়? মঙ্গলবার TV9 বাংলা চিলাপাতায় গিয়ে যা দেখলেন তা দেখে আপনিও হতবাক হয়ে যাবেন। জঙ্গলের পাশে নির্মিত হয়েছে রিসোর্ট, তার সঙ্গে সুইমিং পুল।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পর জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। জঙ্গল, বন্যপ্রাণী দেখার টানে প্রতিদিন পর্যটকরা ছুটে যান জলদাপাড়ার চিলাপাতাতে। জলদাপাড়ার চিলাপাতা যেন টাউনশিপকেও হার মানাবে। চিলাপাতা রেঞ্জ অফিস থেকে বানিয়া বস্তি প্রায় তিন চার কিলোমিটার যেন টাউনশিপ। গজিয়ে উঠেছে বড় বড় অট্টালিকা। হোম স্টে তো শুধু নামে। হোম স্টের আড়ালে বড় বড় রিসোর্ট।
জঙ্গলের মাঝে গজিয়ে উঠেছে কংক্রিটের রিসোর্ট। হোটেলেই ঢুকে পড়ছে হাতি, হরিণ। তাই এই রিসর্টে থেকে বন্যপ্রাণী দেখার লোভ সামলাতে পারেন না পর্যটকরা।ছুটে যান চিলাপাতা।
চিলাপাতা জঙ্গলে দুএকটি বেআইনি রিসোর্ট বছর খানেক আগে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল বনদফতর। তারপরও থেমে নেই চিলাপাতায় বিল্ডিং নির্মাণ। এখন জঙ্গল ঘেঁষে টেন্ট হাউস নাম দিয়ে চলছে নির্মাণযজ্ঞ। এই নির্মাণে তাঁরা অনুমতি পাচ্ছেন কোথায়? উত্তর কারও জানা নেই।
স্থানীয় পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ নেতারা এ নিয়ে চুপ রয়েছেন।মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব এ নিয়ে আগে অভিযোগ তুলেছিলেন। কিছুদিন টনক নড়েছিল নেতাদেরও। স্থানীয় নেতারা সাফ জানিয়েছেন, হোম স্টের আড়ালে বেআইনি বড় বড় বিল্ডিং হচ্ছে। এটা নিয়ে নজর রাখা হবে।
এক রিসোর্ট মালিক শেখর বলেন, “জঙ্গলের ভারসাম্য যাতে ক্ষতি না হয়, সেটা সরকার দেখবে। কী হওয়া উচিত। তবে এখানে হোম স্টে ও রিসোর্ট ৪০ টি র মত আছে।” তাঁর কথায়, সব ছোট।
