Alipurduar: হাতি তাড়াতে গিয়ে ভাঙল হাত, শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় দাঁতালের
Elephant Attack: খেতের ফসল বাঁচানোর জন্য গ্রামবাসীরা চেষ্টা শুরু করেন। চার-পাঁচ জনের একটি দল হাতি তাড়াতের জন্য যায় ওই ধান খেতে। আর তখনই ঘটে বিপত্তি।
আলিপুরদুয়ার: ফের হাতির তাণ্ডব আলিপুরদুয়ারে। সেই হাতি তাড়াতে গিয়ে গুরুতর জখম হলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভলকা রেঞ্জের বারবিশা শিলবংলা জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায়। এই জঙ্গল থেকে প্রায়শই লোকালয়ে হাতি ঢুকে যায়। প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই এলাকায়। জঙ্গল থেকে মাঝে মধ্যেই হাতি ঢুকে আসে পার্শ্ববর্তী চাষের জমিতে। ফসল খেয়ে সাবার করে দিয়ে যায়। শনিবার রাতেও এমনই ঘটনা ঘটেছিল। একটি হাতির পাল ঢুকে পড়েছিল জঙ্গলের পাশের ধান খেতে। গভীর রাত তখন। চারিদিক অন্ধকার। তারই মধ্যে খেতের ফসল বাঁচানোর জন্য গ্রামবাসীরা চেষ্টা শুরু করেন। চার-পাঁচ জনের একটি দল হাতি তাড়াতের জন্য যায় ওই ধান খেতে। আর তখনই ঘটে বিপত্তি।
বছর তিরিশের এক ব্যক্তিকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় মারে একটি হাতি। ঘটনায় গুরুতর জখম হয় ওই ব্যক্তি। আহত ব্যক্তির নাম অনুপ মীঞ্জ। এদিকে ততক্ষণে খবর চলে গিয়েছিল ভলকা রেঞ্জের আধিকারিকদের কাছে। পরবর্তী সময়ে ভলকা রেঞ্জের অধিকরিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর জখম ওই যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে কামাখ্যাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। পরে সেখান থেকে আহত ওই যুবককে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাতি শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় দেওয়ায় ওই যুবকের ডান হাত ভেঙে গিয়েছে। বর্তমানে ওই ব্যক্তি আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে এলাকায়। রাতে হাতি তাড়াতে যে দলটি গিয়েছিল গ্রাম থেকে, সেই দলের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, “আমরা হাতি তাড়াতে গিয়েছিলাম ধান খেতে। পাঁচ-ছয় জন ছিলাম। সেই সময় হাতি আমাদের তাড়া করে এবং অনুপ মীঞ্জ নামে ওই ব্যক্তিকে তুলে আছাড় মারে। আমরা সবাই হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম এবং সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম।” এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে।