TMC Leader Murder: তৃণমূল নেতার খুনে অভিযুক্ত এক দুষ্কৃতীকে পিটিয়ে মারল জনতা
তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন করার পর থেকেই থমথমে রয়েছে ওই এলাকা। জয়নগর থানার পুলিশ বাহিনীও রয়েছেন সেখানে। মসজিদের সামনেই যেখানে সইফুদ্দিনকে গুলি করা হয়েছে সেখানে এখনও রয়েছে রক্তের দাগ। এই ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, ভোর ৫টা নাগাদ দুটি বাইকে করে পাঁচ জন দুষ্কৃতী আসে। এসে তাঁরা পিছন থেকে গুলি করে সইফুদ্দিনকে।
জয়নগর: ভোরবেলা নমাজ পড়তে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। সইফুদ্দিন লস্কর নামের ওই তৃণমূল নেতাকে পিছন থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার-পাঁচ জন দুষ্কৃতীর ছোড়া গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় তাঁর শরীর। গুলির শব্দ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। এবং এক দুই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন। এর মধ্যে এক অভিযুক্তকে স্থানীয়রা পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন বলে অভিযোগ। অপর এক দুষ্কৃতীকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন করার পর থেকেই থমথমে রয়েছে ওই এলাকা। জয়নগর থানার পুলিশ বাহিনীও রয়েছেন সেখানে। মসজিদের সামনেই যেখানে সইফুদ্দিনকে গুলি করা হয়েছে সেখানে এখনও রয়েছে রক্তের দাগ। এই ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, ভোর ৫টা নাগাদ দুটি বাইকে করে পাঁচ জন দুষ্কৃতী আসে। এসে তাঁরা পিছন থেকে গুলি করে সইফুদ্দিনকে। তার পরই লুটিয়ে পড়েন।
গুলির শব্দ শুনেই বেরিয়ে এসেছিল এলাকাবাসী। তাঁরা গুলি চালানোয় অভিযুক্তদের মধ্যে থেকে দুই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন। এর মধ্যে এক জনকে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন বলে অভিযোগ। অপর এক দুষ্কৃতীকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। জনতার মারে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করেছে পুলিশ।
ধৃত দুষ্কৃতীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের পিছনে আর কারা ছিল সে বিষয়ে জানতে চাইছে পুলিশ। সেই সঙ্গে কারা এই দুষ্কৃতীদের খুনের জন্য পাঠিয়েছিল তাও জানার চেষ্টা চলছে। মৃত সইফুদ্দিনের উপর এর আগেও আক্রমণের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।