Anubrata Mondal: ‘হাতজোড় করে বলব…’, এ কাদের সামনে সুর নরম হল বীরভূমের ‘বাঘের’?
Anubrata Mondal: এবার সেই দেউচা নিয়ে সতর্কবার্তা অনুব্রতর মুখে। তবে সেই আগের মতো চড়া সুর নয়। জেল থেকে ফিরে কেষ্টর সুর এখন নরম। তাই বিনম্র ভাবেই সাধারণের কাছে কাতর আর্জি রাখলেন তিনি। কী বার্তা তাঁর?

কলকাতা: বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরদিনই দেউচা-পাচামিতে শুরু হয় কাজ। একদিকে যখন চাকরি চেয়ে বিক্ষোভ চালাচ্ছেন জমিদাতারা। তার মাঝেই হয়ে যায় খনির ভিতপুজোর কাজ।
এবার সেই দেউচা নিয়ে সতর্কবার্তা অনুব্রতর মুখে। তবে সেই আগের মতো চড়া সুর নয়। জেল থেকে ফিরে কেষ্টর সুর এখন নরম। তাই বিনম্র ভাবেই সাধারণের কাছে কাতর আর্জি রাখলেন তিনি। কী বার্তা তাঁর?
সোমবার মহম্মদবাজার কমিউনিটি হলে আয়োজিত জমির পাট্টা বিলির একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। জেল থেকে ফেরার পর নতুন বছরেই নিজের হারানো পদ ফিরে পেয়েছেন কেষ্ট। পুনরায় হয়েছেন গ্রামীণ উন্নয়ন গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান। আর সেই পদ ফিরে পাওয়ার দরুণ এই পাট্টা বিলি অনুষ্ঠানে হাজির হন তিনি।
সেখান থেকে এলাকাবাসীর উদ্দেশে বিনম্র সুরে অনুব্রত আর্জি করেন, ‘কয়লা শিল্পের কাজে কোনও বহিরাগত প্ররোচনায় পা দেবেন না। যদি কেউ খারাপ পরামর্শ দেয়, হাতজোড় করে বলব, দয়া করে আমাদের জানাবেন। এই প্রোজেক্টটা নষ্ট করবেন না।’
এরপরই কেষ্টর দাবি, ‘আমি জোর গলায় বলতে পারি, কোনও মানুষকে ঠকানো হবে না। এই প্রকল্পের হাত ধরেই ১ লক্ষেরও অধিক কর্মসংস্থান হবে।’ অবশ্য, পাট্টা বিলি অনুষ্ঠান থেকে বেরতেই যেন একটু আত্মবিশ্বাসীও হয়ে ওঠেন অনুব্রত। বলেন, ‘যদিও কোনও বহিরাগত প্ররোচনায় আমাদের কিছু যায় আসে না। কারণ এলাকার মানুষ কাজ পাচ্ছেন, এলাকার উন্নতি হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, দেউচা-পাচামি ঘিরে জমি জট এখনও সম্পূর্ণ রূপে কাটেনি বললেই চলে। ইতিমধ্যে এলাকার মানুষের সমস্যার সমাধান করতে চার জায়গায় ক্যাম্প তৈরি করে জমি জট কাটানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে প্রশাসন। সেই ক্যাম্পের আবেদনের ভিত্তিতে আয়োজন হয়েছিল এদিনের পাট্টা বিলি অনুষ্ঠান। মোট ১১৩ জনের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেওয়া হয়েছে প্রশাসন তরফে।





