Trinamool Congress: ৪০০ কর্মীর যোগদান ঘিরে প্রকাশ্যে জেলা সভাপতি বনাম বিধায়ক দ্বন্দ্ব, ভোটের আগে ফের কোন্দল কাঁটা তৃণমূলে?
TMC in Bankura: সোমবার সন্ধ্যায় দেশড়া কোয়ালপাড়া এলাকায় একটি পথসভা ছিল তৃণমূলের। সেখানেই বেশ কিছুজনের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন। পরবর্তীতে দাবি করেন, রাজ্যজুড়ে চলা উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হতে বিজেপি সহ একাধিক বিরোধী দল থেকে কর্মীরা তৃণমূলে এসেছেন ১০০টি পরিবার থেকে প্রায় ৪০০ জন এসেছেন।

বাঁকুড়া: ভোটের আগে ঘাটালে বড় ধাক্কা খেয়েছে ঘাসফুল শিবির। একঝাঁক কর্মী ইতিমধ্যেই তৃণমূল থেকে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। অন্যদিকে বাঁকুড়াতে আবার শক্তি বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। যদিও তা নিয়েও প্রকাশ্য়ে দলের জেলা সভাপতি বনাম বিধায়ক দ্বন্দ্ব। দলের অনুমোদন ছাড়াই যোগদানের অভিযোগ জেলা সভাপতির। তা নিয়েই চাপানউতোর জেলার রাজনৈতিক মহলে। বিভিন্ন দল থেকে ১০০ পরিবারের প্রায় ৪০০ জন যোগ দিলেন তৃণমূলে।
সোমবার বাঁকুড়ার দেশড়া কোয়ালপাড়া এলাকায় ওই ৪০০ জন ভোটারের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার। এই হরকালী আবার আগে ছিলেন বিজেপির বিধায়ক। পরবর্তীতে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তাঁর বিরুদ্ধেই এখন সুর চড়াচ্ছেন তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুব্রত দত্ত। গোটা ঘটনা নিয়ে নাকি কিছু জানতো না জেলা নেতৃত্ব। যোগদান পর্বের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সুব্রত। পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। গোটা বিষয় কাটমানির লড়াই বলে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতারা।
সোমবার সন্ধ্যায় দেশড়া কোয়ালপাড়া এলাকায় একটি পথসভা ছিল তৃণমূলের। সেখানেই বেশ কিছুজনের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন। পরবর্তীতে দাবি করেন, রাজ্যজুড়ে চলা উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হতে বিজেপি সহ একাধিক বিরোধী দল থেকে কর্মীরা তৃণমূলে এসেছেন ১০০টি পরিবার থেকে প্রায় ৪০০ জন এসেছেন। এবার সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই গোটা যোগদান পর্বের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন দলেরই বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি। তাঁর সাফ কথা, যোগদানের কোনও আগাম খবর তাঁর কাছে ছিল না। দলের জেলা নেতৃত্বের আগাম অনুমোদন ছাড়া বিধায়কের হাত ধরে এই যোগদানের কোনো বৈধতা নেই।
যদিও বৈধতা আছে বলে মনে করছেন বিধায়ক। কিন্তু যেহেতু হলের অভ্যন্তরীণ বিষয় তাই প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ তিনি। পাশাপাশি এতে দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কিছু নেই বলেই মনে করছেন তিনি। পাল্টা কটাক্ষবাণ শানিয়েছেন বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাস। তাঁদের দাবি, আসলে কেউ দলবদল করেইনি। নিজের দলের কর্মীদের ফের পতাকা ধরিয়ে নাটক করছে তৃণমূল।
