একটা শাড়ির দাম ১ লাখ, বাংলার শিল্পীদের তৈরি এই শাড়িতে কী এমন আছে!
Bankura: ২০ জন বালুচরি শিল্পী এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন ও নিখুঁতভাবে কৌশল শিখে শুরু করেন এই শাড়ি বোনার কাজ। প্রায় ২ মাস ধরে ২০ জন শিল্পীর লাগাতার চেষ্টার পর অবশেষে সেই শাড়ি বাজারে এল।

বাঁকুড়া: একটি শাড়ির দাম এক লক্ষ। আর সেই শাড়ি তৈরি হল বাংলার বুকেই। বাংলার বিভিন্ন জেলায় বিশেষ বিশেষ ধরণের শাড়ি তৈরি হয়। মুর্শিদাবাদ সিল্ক থেকে শুরু করে বাংলার তাঁতের চাহিদা বরাবরই বেশি। তবে এবার এক লাখি শাড়ি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বাংলার শিল্পীরা। একেবারে নতুন প্রযুক্তিতে বানানো হয়েছে সেই শাড়ি। আর সেই প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
বিষ্ণুপুরের ২০ জন বালুচরি শিল্পী তৈরি করেছেন সেই শাড়ি। নতুনভাবে বোনা এই শাড়িতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আদিবাসীদের করম উৎসবের বিভিন্ন ছবি। বিষ্ণুপুর দীর্ঘদিন ধরে বালুচরি শাড়ির জন্য বিখ্যাত। বিষ্ণুপুরের বালুচরি জি আই ট্যাগও পেয়েছে। এবার সেই শাড়ির বুননেই লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। এতদিন শাড়ি বোনার জন্য ব্যবহার করা হত হাতে তৈরি ডিজাইন পাঞ্চিং ব্লক। এবার কম্পিউটারের মাধ্যমে ডিজাইন পাঞ্চিং ব্লক তৈরি করে শুরু হল শাড়ি বোনার কাজ।
নতুন এই প্রযুক্তি শেখাতে আজ থেকে ৬ মাস আগে একটি প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছিল রাজ্য সরকার। সেখানে ২০ জন বালুচরি শিল্পী এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন ও নিখুঁতভাবে কৌশল শিখে শুরু করেন এই শাড়ি বোনার কাজ। প্রায় ২ মাস ধরে ২০ জন শিল্পীর লাগাতার চেষ্টার পর অবশেষে সেই শাড়ি বাজারে এল। শিল্পীদের দাবি, কম্পিউটার পাঞ্চিং ডিজাইনের মাধ্যমে হাতে গলানো পদ্ধতিতে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে এই শাড়ি তৈরি করা হয়েছে।
এই শাড়িতে মোট তিনটি মাকু ব্যবহার করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আদিবাসী সংস্কৃতির বিভিন্ন চিত্র। শাড়ির আঁচলে করম পুজোর ছবি ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি শাড়ির গা জুড়ে রয়েছে ধামসা মাদলের ডিজাইন। বালুচরি শাড়ি বোনার এই নতুন কৌশল বিষ্ণুপুরের অন্যান্য শিল্পীদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। শিল্পীদের দাবি, নতুনভাবে তৈরি এই শাড়ির দাম এক লক্ষ টাকা হলেও আগামিদিনে বাজারে এর চাহিদা যথেষ্টই বাড়বে।





