Bankura Elephant: গজরাজদের আটকাতে ‘খাবারের পাহাড়’ তৈরি হল বাঁকুড়ায়
Bankura Elephant: দুটি বিষয় সামাল দিতে পুজোর আগে থেকেই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বন দফতর। ৪৪ টি হাতির দলকে বড়জোড়া ও বেলিয়াতোড়ের মধ্যবর্তী একটি জঙ্গলে 'এলিফেন্ট প্রুফ ট্রেঞ্চ ও ইলেকট্রিক ফেন্সিং'-এর মধ্যে রেখে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানোর ব্যবস্থা করে
বাঁকুড়া: উৎসবের মরসুমে জঙ্গল ছেড়ে যাতে কোনওভাবেই গ্রামে হানা না দেয় হাতির দল, তার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বন দফতর । জঙ্গলের নির্দিষ্ট ঘেরা জায়গায় ২৪ ঘণ্টা নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে হাতির দলকে । পাশাপাশি হাতির দলকে সেই নির্দিষ্ট ঘেরা জায়গায় দেওয়া হচ্ছে যথেষ্ট পরিমাণ খাবার । তারপরও আতঙ্ক কাটছে না বাঁকুড়ার জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের ।
বাঁকুড়া জেলায় এখন সবমিলিয়ে হাতির সংখ্যা ৬৯ টি । এর মধ্যে ২৫ টি হাতি সোনামুখী এলাকায় থাকলেও ৪৪ টি হাতির একটি বড় দল রয়েছে বেলিয়াতোড় ও বড়জোড়ার মধ্যবর্তী জঙ্গলে। উৎসবের মরসুমে হাতির দল ইতস্তত ঘুরে বেরালে একদিকে যেমন বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তেমনই এলাকার মানুষের ক্ষোভ বৃদ্ধির আশঙ্কাও তৈরি হয় । এই দুটি বিষয় সামাল দিতে পুজোর আগে থেকেই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বন দফতর। ৪৪ টি হাতির দলকে বড়জোড়া ও বেলিয়াতোড়ের মধ্যবর্তী একটি জঙ্গলে ‘এলিফেন্ট প্রুফ ট্রেঞ্চ ও ইলেকট্রিক ফেন্সিং’-এর মধ্যে রেখে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানোর ব্যবস্থা করে ।
এক সঙ্গে এতগুলি হাতি থাকায় জঙ্গলের নির্দিষ্ট ওই এলাকায় যাতে হাতির খাবারের কোনওরকম অভাব যাতে না হয় সেব্যাপারেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । নিয়ম করে বন দফতরের তরফে নির্দিষ্ট ওই এলাকায় প্রতিদিন কুইন্টাল কুইন্টাল কুমড়ো , কলাগাছ , আঁখ ও তরমুজ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
সবমিলিয়ে উৎসবের দিনগুলি জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলির মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে কাটাতে পারে সে ব্যাপারে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বন দফতর । কিন্তু তারপরও জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলির মানুষের আতঙ্ক দূর হয়নি। রুজিরুটির প্রয়োজনে দিনের বেলায় ভয়ে ভয়ে জঙ্গলপথে কোনওক্রমে যাতায়াত চললেও সূর্য ডুবতেই হাতির হানার আতঙ্কে বাড়িতে ঢুকে পড়ছেন সাধারণ মানুষজন ।