AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bankura: ‘….মা আমাকে কে যেন ডাকছে’, ফুরফুরে মেজাজে সকালেই বলে বর্ষা, পরীক্ষার বাকি দু’ঘণ্টা, ভেবেছিলেন মেয়ে পড়ছে অথচ… ঘুরে ঢুকতেই দেখলেন…

Bankura: বাঁকুড়ার জয়পুর থানার কারকবেড়িয়া গ্রামের বর্ষা দে স্থানীয় টানাদিঘি হাইস্কুলের ছাত্রী। উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার সিট পড়েছিল রাজগ্রাম হাইস্কুলে পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, টেস্টে ভাল ফল করেছিল বর্ষা।

Bankura: '....মা আমাকে কে যেন ডাকছে', ফুরফুরে মেজাজে সকালেই বলে বর্ষা, পরীক্ষার বাকি দু'ঘণ্টা, ভেবেছিলেন মেয়ে পড়ছে অথচ... ঘুরে ঢুকতেই দেখলেন...
আত্মঘাতী পরীক্ষার্থীImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Mar 03, 2025 | 12:29 PM
Share

বাঁকুড়া:  পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা বাকি। ভোরেই উঠেছিল মেয়ে। নিজের ঘরে পড়তে বসে গিয়েছিল। মা সকালে তাড়াতাড়ি করে রান্না সারছিলেন। মেয়ে খেয়ে পরীক্ষা দিতে যাবে! স্নান করার সময় হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তখনও ঘর থেকে বেরোচ্ছিল না মেয়ে। ডাকতে গিয়ে দেখেন, নিজের ঘরে গলায় সিলিং ফ্য়ানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে মেয়ে। পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা আগে আত্মঘাতী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার জয়পুরের কারকবেড়িয়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম বর্ষা দে। তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

কিন্তু কেন আত্মঘাতী হল বর্ষা?

বাঁকুড়ার জয়পুর থানার কারকবেড়িয়া গ্রামের বর্ষা দে স্থানীয় টানাদিঘি হাইস্কুলের ছাত্রী। উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার সিট পড়েছিল রাজগ্রাম হাইস্কুলে পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, টেস্টে ভাল ফল করেছিল বর্ষা। উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল করার ভীষণ প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা যত এগিয়ে আসছিল, ততই যেন তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দিতে শুরু করে। বারবার সে কথা মাকে জানিয়েছিল বর্ষা। বাড়ির তরফ থেকে তাকে বারবার বোঝানো হচ্ছিল।

রবিবার হঠাৎ করেই অসুস্থ বোধ করতে থাকে ছাত্রী। তার কাকা বলেন, “আমাকে ওর মা ফোন করে কাল ডাকে। বলছিল, মেয়ের শরীর খারাপ বলছে। আমি যাই। আমাকে বর্ষা বলে, কাকা আমাকে যেন কে ডাকছে… আমার ভিতর থেকে ডাক দিচ্ছে, ভীষণ উচাটন লাগছে।” বর্ষার মামাও ফোন পেয়ে রবিবার গিয়েছিলেন। বর্ষা আবার মামাকে বলেছিল, তার গা বমি করছে। বর্ষাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে দেখিয়ে, ফের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। তারপরই সোমবার সকালে এই ঘটনা।

সোমবার থেকে ঘুম থেকে উঠে, ব্রাশ করে পড়তেও বসে গিয়েছিল বর্ষা। কিন্তু মা যখন তাকে স্নান করার জন্য ডাকতে যান, তখন ওই অবস্থায় দেখেন। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরীক্ষা নিয়ে মানসিক চাপেই জেরেই ওই ছাত্রী এমনটা করেছে বলে দাবি পরিবারের।