Sukanta Majumdar-Soumitra Khan: ‘পুলিশকে জুতো মারব’, কুকথায় পঞ্চমুখ সৌমিত্র; বেলাগাম সুকান্তও

বিডিও, এসডিও-দের পায়খানা, প্রসাব বন্ধ করে রাখার হুঁশিয়ারি দিলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। তাঁর কথায়, "এইভাবে অত্যাচার চালালে প্রকৃত প্রাপকরা বাড়ি পাবেন।"

Sukanta Majumdar-Soumitra Khan: 'পুলিশকে জুতো মারব', কুকথায় পঞ্চমুখ সৌমিত্র; বেলাগাম সুকান্তও
বাঁকুড়ায় দুটি পৃথক কর্মসূচিতে বেলাগাম সুকান্ত মজুমদার ও সৌমিত্র খাঁ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 09, 2023 | 6:10 PM

বাঁকুড়া: ফের বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি নেতারা। একইসঙ্গে পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিক সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা। মূলত আবাস যোজনায় দুর্নীতি নিয়েই পুলিশ-প্রশাসনিক আধিকারিকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়ান। আর তাঁদের মন্তব্যে কার্যত সমর্থন জানিয়ে বেলাগাম রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

ঠিক কী বলেছেন বিজেপি নেতারা? জানা গিয়েছে, এদিন প্রথমে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটান বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দিতে যায় বিজেপি প্রতিনিধি দল। সেই দলে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তাঁর সামনে দাঁড়িয়েই বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতি ও পুলিশকে বলছি, যদি কেউ এই গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যালট বক্স পরিবর্তন করার চেষ্টা করে বা মনে করেন মানুষকে ভোট দিতে দেবেন না, তাহলে আমরা জুতো মারব।”

সৌমিত্র খাঁয়ের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে যখন জেলায় শোরগোল শুরু হয়, সেই সময় বাঁকুড়া দু নম্বর ব্লকের একড়াবাদ গ্রামে আয়োজিত একটি কর্মী সম্মেলনে সুকান্ত মজুমদারকে পাশে বসিয়ে বক্তব্য রাখেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। তিনি বলেন, “আবাস যোজনায় বাড়ি পেতে চাইলে বিডিও, এসডিও-দের ঘরে চাবি দিয়ে রাখতে হবে। বিডিও, এসডিও-দের পায়খানা, প্রসাব বন্ধ করে দিতে হবে। এইভাবে অত্যাচার চালালে প্রকৃত প্রাপকরা বাড়ি পাবেন।”

প্রশাসনিক আধিকারিক সম্পর্কে দলীয় বিধায়কের এহেন মন্তব্যের কোনও বিরোধিতা করেননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বরং আরও একধাপ এগিয়ে সরাসরি পুলিশকর্মীদের ‘হাওয়াই চটি’, ‘দালাল’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এমনকি কোনও পুলিশকর্মী ভোটের সময় শাসকদলের হয়ে কাজ করলে তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ারও বার্তা দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।

নীচু তলার পুলিশকর্মীদের দিয়ে রাজ্য সরকার উল্টোপাল্টা কাজ করায় বলে অভিযোগ তোলেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, “নীচু তলার কিছু পুলিশকর্মী ভাল। দু-চারটে পুলিশ অফিসার হাওয়াই চটি। তাঁদের মাথায় যে অশোকস্তম্ভ আছে, সেটি আদতে অশোকস্তম্ভ নয়। আতসকাচ দিয়ে ভাল করে দেখুন, ওটা হাওয়াই চটি হয়ে গিয়েছে। নীচু তলার পুলিশ অফিসাররা রাজ্য সরকারের থেকে মাইনে পায়। ওদের দিয়ে উল্টোপাল্টা কাজ করছে।” তবে পুলিশের পক্ষপাতিত্ব মেনে নেওয়া হবে না, পাল্টা জবাব দেওয়ার বার্তা দিয়ে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, “এরা (পুলিশকর্মী) যদি ভোটের সময় তৃণমূলের হয়ে দালালি করে, তাহলে ভুলে যাবেন ওরা পুলিশ না বিডিও। দালালদের সঙ্গে যা করতে হয় তাই করবেন। দল আপনাদের পাশে আছে। এতগুলো বিধায়ক আছে। কেউ হাতে চুরি পড়ে বসে নেই। একটা কর্মীর গায়ে হাত পড়লে আমরা ছেড়ে দেব না। আমরা গণতন্ত্রে বাস করি। কিন্তু আমাদের ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভাবা উচিত নয়।”

প্রসঙ্গত, আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়। আবাস যোজনার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এদিন বাঁকুড়া জেলাজুড়ে বিজেপির ডেপুটেশন, কর্মী সম্মেলন কর্মসূচি হয়। সেই কর্মসূচিতে যোগ দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।