Fake Voter: ‘ভূত’ তো ছিলই, এ যেন আরও ‘অদ্ভুত’! এলাকায় দুই ভোটারের খোঁজে গিয়ে ভিড়মি খাওয়ার জোগাড় তৃণমূল নেতাদের
Fake Voter: ফের ভূতুড়ে ভোটারের সন্ধান, তালিকায় এপিক নম্বর ও ছবি থাকলেও নেই ভোটারের নাম, বাবার নাম। আবার কারও সব থাকলেও নেই ভোটারের অস্তিত্বই। ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোর তরজা বিষ্ণুপুরে।

বিষ্ণুপুর: ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই! এরইমধ্যে এবার এপিক নিয়ে ফের শোরগোল বাঁকুড়াতে। ভূতুড়ে ভোটারের সন্ধান মিলল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের মুনিনগর গ্রামে। দলের নির্দেশে নেতারা ভোটার লিস্ট হাতে মুনিনগর গ্রামে বাড়ি বাড়ি ঘুরতেই এমনই দুই ভুয়ো ভোটারের সন্ধান মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ওই দুই ভোটারের ঠিকুটি-কুষ্ঠি জানতে পেরে রীতিমতো চোখ কপালে উঠে গেল নেতাদের। একটি নির্দিষ্ট বুথে এমন দুই ভোটারের সন্ধান মিলেছে যার সঙ্গে বাস্তবের কোনও সম্পর্কই নেই। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই পারস্পরিক দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে।
দলের নির্দেশে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের মুনিনগর গ্রামে ভোটার তালিকা হাতে বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য যাচাই করা শুরু করেন স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্ব। সেই তথ্য যাচাইয়ের কাজ করতে গিয়ে তৃণমূল নেতারা দেখেন তালিকায় ৯৮১ নম্বর ক্রমিক সংখ্যায় একটি এপিক নম্বর দেখতে পান। তার পাশে রয়েছে একটি ছবিও। কিন্তু ওই ক্রমিক সংখ্যায় না আছে ভোটারের নাম না আছে ভোটারের বাবার নাম। অন্যদিকে ৯৮৪ ক্রমিক সংখ্যায় নাম রয়েছে অনুরাধা বেরা নামের এক ভোটারের। নামের পাশে বাবার নাম, এপিক নম্বর এমনকি ছবিও রয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি ওই নামের কোনও ভোটারের অস্তিত্ব গত কয়েক দশকে গ্রামে ছিল না, আজও নেই। তাহলে কীভাবে সেই নাম ভোটার তালিকায় জায়গা পেল তা নিয়ে হতবাক স্থানীয়রা। তৃণমূলের দাবি, এর পুরোপুরি দায় নির্বাচন কমিশনের। বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে এভাবেই তালিকায় ভুয়ো ভোটার ঢুকিয়েছে। সুর চড়িয়েছেন মুনিনগর গ্রামের তৃণমূল বুথ সভাপতি সমর মুখোপাধ্যায়।
অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা রাজ্যের শাসকদলকেই দুষেছে বিজেপি। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাস। বিজেপির দাবি, এর পুরোপুরি দায় বিএলও হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারের কর্মীদের। রাজ্যের শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে এই ধরনের কাজ করে এখন নজর ঘোরাতে এই ধরনের অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের। চাপানউতোর চলছে রাজনৈতিক মহলে।





