Bankura BJP MLA: খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ওয়ার্ডেই চতুর্থ পদ্ম, ভরাডুবির পর ‘পাপের প্রায়শ্চিত্ত’ করতে বলছেন বিধায়ক

Bankura MLA: ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার জোড়া আসনেই পদ্ম ফুটেছিল। সেই ধারা অব্যাহত রেখে ২০২১ বিধানসভাতেও অসল দখল করতে পেরেছিল তারা।

Bankura BJP MLA: খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ওয়ার্ডেই চতুর্থ পদ্ম, ভরাডুবির পর 'পাপের প্রায়শ্চিত্ত' করতে বলছেন বিধায়ক
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 03, 2022 | 4:03 PM

বাঁকুড়া: সদ্য সমাপ্ত পুরভোটে বিপুর হারের ধাক্কায় কক্ষপথচ্যুত হয়েছে বিজেপি (BJP)। রাজ্যের বিরোধী দল হয়েও ঝুলিতে নেই একটিও পুরসভা। এমনকী ভোট সংখ্যার নিরিখে তারা পিছিয়ে পড়েছে বামেদের (Left Front) থেকেও। জোড়া ধাক্কা সমলে ওঠার আগেই এবার বাঁকুড়ায় গেরুয়া শিবিরের দুয়ারে কড়া নাড়ছে খোদ দলীয় বিধায়কের অস্বস্তিকর মন্তব্য। জেলার তিন পুরসভাতেই ভরাডুবির জন্য শীর্ষ নেতৃত্বকেই কাঠগড়ায় তুলে চাঁচাছোলা সমালোচনা করেছেন ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা। দল সামলাতে কার্যত পাপের প্রায়শ্চিত্ত করারও পরামর্শ দেন তিনি।

বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া ও সোনামুখী এই তিন পুরসভাতেই বিজেপির চুড়ান্ত পতন হয়েছে। তিন পুরসভা মিলিয়ে মোট ৫৮ টি আসনের মধ্যে মাত্র ২ টিতে জয় পেয়েছে বিজেপি। একমাত্র বিষ্ণুপুরবাদে বাকি দুই পুরসভার একটি আসনেও জিততে পারেনি তারা। এমনকী বহু আসনে দ্বিতীয় স্থানেও নেই পদ্ম শিবিরের প্রার্থীরা। সবচেয়ে তাৎপর্যের বিষয়, খোদ বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার ও বাঁকুড়ার বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানার বসতবাড়ি বাঁকুড়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি নির্দলের পরের স্থান অর্থাৎ চতুর্থ।

অথচ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার জোড়া আসনেই পদ্ম ফুটেছিল। সেই ধারা অব্যাহত রেখে ২০২১ বিধানসভাতেও অসল দখল করতে পেরেছিল তারা। জেলার ১২টি আসনের মধ্যে ৮টিতেই জয় পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বছর ঘুরতেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল জেলা রাজনীতির অঙ্ক। পুরসভা নির্বাচনে শাসক তৃণমূলের কাছে পর্যুদস্থ পদ্ম শিবির। তৃণমূলের দাবি, সুযোগ পেয়েও মানুষের কাজ করেনি বিজেপি। তাই পরাজয়ের ধাক্কা খেয়ে মুখ লুকোচ্ছেন সাংসদ, বিধায়ক সহ বিজেপির জেলা নেতৃত্বরা।

এছাড়াও শাসক দলের তরফে এনিয়ে চড়া সুরে কটাক্ষও করা হয়েছে। এরই মাঝে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন বিজেপির বিদ্রোহী বিধায়ক হিসাবে পরিচিত অমরনাথ শাখা। রাখঢাক না রেখেই সমস্ত ব্যর্থতার দায়ভার নেতৃত্বের কাধে চাপিয়েছেন তিনি। অমরনাথবাবু বলেন, “জেলা ও রাজনীতির ভূগোল জানে না এমন লোকেদের প্যারাসুটে করে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে নেতা হিসাবে। অথচ তারা রাজনীতির লোক নয়। এর জেরেই ভরাডুবি ঘটেছে। পুরনির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে নেতৃত্বর পাপের প্রায়শ্চিত্ত করা উচিত। কারণ লোকসভায় ভালো ফল করার পর বিধানসভায় হার এবং তার পরবর্তী সময়ে সংগঠনের যে দূর্বলতা তা আমরা শোধরানোর চেষ্টা করিনি। আমাদের নেতৃত্বের জন্যই এই ভরাডুবি। উপরমহলকে বুঝতে হবে সংগঠন থাকলেই দল থাকবে।” এছাড়াও সাংসদ ও বিধায়কের ওয়ার্ডে হারকেই ‘পাপ’ হিসাবে অবিহিত করেন তিনি।

আরও পড়ুন: TMC Inner Clash: জেতার পরও জুটল না ছাদ, গজগজ করতে-করতে রাস্তায় বসেই তৃণমূল কর্মীরা বললেন…

আরও পড়ুন: Nabagram Accident: ট্রাকের চাকায় সেকেন্ডের মধ্যেই থেঁতলে গেলেন শিক্ষক, রক্তের ছাপে ভরে গোটা রাস্তা