Subhas Sarkar: শিক্ষা ব্যবস্থা লাটে উঠেছে, রাজ্য সরকার চালাতে না পারলে ছেড়ে দিক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
Bankura news: রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও শাসক দলকে একহাত নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থায় যা হয়েছে, জেলার ভাষায় বলতে গেলে লাটে তুলে দিয়েছে।"
বাঁকুড়া: “রাজ্য সরকার চালাতে না পারলে ছেড়ে দিক, পদত্যাগ করুক সব।” এনসিসির অর্থ বরাদ্দ সংক্রান্ত সমস্যার প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার এই ভাষাতেই আক্রমণ শানালেন শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar)। তিনি বলেন, “বাংলার আর্থিক অবস্থা দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। সরকারটা তো চালাতেই পারছে না। তারই ফল হিসেবে একটার পর একটা আসছে – সরকারি কর্মচারীরা মহার্ঘভাতা পাচ্ছেন না। এসসিসির মতো প্রতিষ্ঠান যেখানে পড়ুয়াদের শরীর ও চরিত্র নির্মাণ হয়, ভবিষ্যতে তাঁরা পুলিশ, সেনা, আধাসেনায় যোগ দিতে পারেন। তাঁদের সেই বিকাশ বন্ধ হয়ে যাবে। এটি অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে। রাজ্য সরকার যদি না পারে, তাহলে ছেড়ে দিক। পদত্যাগ করুক সব।”
সেই সঙ্গে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও শাসক দলকে একহাত নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থায় যা হয়েছে, জেলার ভাষায় বলতে গেলে লাটে তুলে দিয়েছে।” এর পাশাপাশি রাজ্য শিক্ষা দফতরের ‘শিশু সংসদ’ কর্মসূচি নিয়ে তাঁর মন্তব্য, “এটার মানে আবার পুরনো দিনের কথা ফিরে আসছে। শিশু ও ছাত্রের যে বিকাশ, তাতে বিঘ্ন ঘটবে। আগে তাঁদের সমস্ত গুণ বিকশিত করা উচিত। ভারতে জাতীয় শিক্ষা নীতি, ২০২০ শিশুদের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ বিকাশ করতে চাইছে। এই ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক সমস্ত রাজ্যে চলে এসেছে। অনেক বেশি কাজ করার আছে রাজ্যে। খোলা মনে ছাত্রের বিকাশের জন্য এটি করা উচিত। কিন্তু তা না করে সেখানে শিশু সংসদ করা হচ্ছে। ভারতের সব রাজ্য এটি মেনে নিয়েছে। আমরা চাইব না, আমাদের রাজ্যের ছেলেমেয়েরা জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় অংশ নিক?”
প্রসঙ্গত বুধবারই প্রকাশ্যে এসেছে পশ্চিমবঙ্গে এনসিসির ধাক্কা খাওয়ার বিষয়টি। রাজ্য সরকারের থেকে পর্যাপ্ত অনুদানের অভাবে শিবির করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীও।