Bayron Biswas: ‘বাইরনকে দেখেই ভোট দিয়েছিল তৃণমূল’, ঘাসফুলে গিয়ে ফের সাগরদিঘি জেতার চ্যালেঞ্জ বাইরনের

মেদিনীপুর: বাম কংগ্রেস জোটের বড় ধাক্কার দিন।  জেতার তিন মাসের মধ্যেই হাত ছেড়ে জোড়া ফুলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। আর বললেন,  তিনি কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন ঠিকই, কিন্তু জিতেছে স্বমহিমায়। অর্থাৎ সাগরদিঘির নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের জয়ের ক্ষেত্রে ফ্যাক্টর হয়েছে বাইরন-ম্যাজিকই। দলবদল করতেই বাইরনকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দিয়েছে কংগ্রেস এবং বাম। আর বাইরন বললেন, ‘আমি আবারও জিতে দেখানোর ক্ষমতা রাখি।’ দেখুন একনজরে তৃণমূলে যোগদানের পর বাইরনের ভোলবদল।

KEY Highlights

1. আমি যে জয়ী হয়েছে, এর পিছনে কংগ্রেসের কোনও অবদান ছিল না। আমরা বরাবরই তৃণমূল করে এসেছি। তৃণমূলের টিকিট পাওয়ারও চেষ্টা করেছিলাম। পাইনি। যদি কংগ্রেসের অবদান থাকত, তাহলে তো ২০২১ সালেও জিততাম। আমি বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। আমি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর আরও বিপুল ভোটে জয়ী হব।
2. বিশ্বাসঘাতকতা করেছি, এটা যদি অধীরবাবু বলে থাকেন, তাহলে ওঁ এটা ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে বলছেন। জনগণ এর জবাব ভালভাবে দিতে পারবেন। আমি বিশ্বাসঘাতকতা করলে, আগামী দিনে মানুষ জবাব দেবে। আমি জিততে পারব কি পারব না।
3. আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আজকে আমি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরও বিপুল ভোটে জয়ী হব। আর জনগণের কাজ করতে সফল হব।
4. কংগ্রেসে থেকে কোনও দিক থেকেই কোনওরকম কাজ করতে পারছিলাম না। বিজেপিকে রুখে দাঁড়াতে হলে, তৃণমূল ছাড়া আর কোনও দল নেই। কংগ্রেসে থেকে কোনও কিছুই করে উঠতে পারিনি। কংগ্রেস তো বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও কথাই বলছে না।
5. আবার যদি নির্বাচন হয়, আমি আবারও জিতে দেখানোর ক্ষমতা রাখি। আমার ওপর কোনও চাপ ছিল না। মানুষ আমাকে আরও বিপুল ভোটে জয়ী করবেন। এটা কোনও পার্টিগত ভোট হয়নি। কোনও কংগ্রেস পার্টির ভোট হয়নি। এটা বাইরন বিশ্বাসের ভোট হয়েছিল। আগামী দিনে যদি কাজ করতে পারি, তাহলে কেন মানুষ আমাকে ভোট দেবেন না?
6. দাদা বলছেন, আমি বিশ্বাসঘাতকতা করেছি। তাহলে কংগ্রেস আরও একটা সিট জিতে দেখাক। যদি আমাকে দ্বিতীয়বার দাঁড়িয়ে জিতে দেখাতে হয়, সেটাও করতে রাজি।