Core Committee Meeting: নেই শতাব্দী-চন্দ্রনাথ, পাশাপাশি দেখা গেল অনুব্রত-কাজলদের, কী হল কোর কমিটির বৈঠকে?
Core Committee Meeting: প্রসঙ্গত, দ্বন্দ্ব মিটিয়ে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে, বারবার এই নির্দেশ এসেছে দলের উপর মহল থেকে। কিন্তু, তারপরেও প্রকাশ্যেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে একাধিক কাজল ঘোষের মতো নেতাদের।

বীরভূম: বীরভূম থেকে জেলা সভাপতির পদটাই তুলে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন শুধুই কোর কমিটির সদস্য অনুব্রত মণ্ডল। আর এই সিদ্ধান্তর পর কোর কমিটির বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয় সেদিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। তোপ, কাঁটাছেড়া, কোন্দল কাঁটা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত রবিবার হয়ে গেল কোর কমিটির বৈঠক। এলেন অনুব্রত।
কোর কমিটির ৭ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল, কাজল শেখ, চন্দ্রনাথ সিনহা, সুদীপ্ত ঘোষ,অভিজিৎ সিংহ, বিকাশ রায় চৌধুরী, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯। এবার থেকে বীরভূমের দুই সাংসদকে কোর বৈঠকে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। তবে এদিন বৈঠকে ছিলেন না শতাব্দী রায়। বৈঠক শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বৈঠক থেকে ব্যক্তিগত কাজের কারণ দেখিয়ে বেরিয়ে যান সুদীপ্ত ঘোষও। ছিলেন না চন্দ্রনাথ সিনহাও। এদিন সাড়ে ১১ টা থেকে বৈঠক শুরু হয়। চলে ১২টা ২০ পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, দ্বন্দ্ব মিটিয়ে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে, বারবার এই নির্দেশ এসেছে দলের উপর মহল থেকে। কিন্তু, তারপরেও প্রকাশ্যেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে একাধিক কাজল ঘোষের মতো নেতাদের। নির্দিষ্ট সময় অন্তর কোর কমিটির বৈঠক না হওয়া, অনুব্রতর অনুপস্থিতি নিয়েও চাপানউতোর কম হয়নি। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে দলাদলি ভুলে একযোগে দলের কাজ করার কথা বলেছেন অনেক নেতাই। একসঙ্গে কাজ করার কথা কাজল শেখ, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা যায়।
অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে তিনটি বড় মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল জেলাতে সেই মিছিলগুলি নির্ধারিত তারিখেই হবে বলে ঠিক হয়েছে। সিলমোহর পড়েছে কোর কমিটির। একইসঙ্গে কাজল শেখের কথা মেনে নিয়ে জেলাতে এবার থেকে প্রতি মাসে তিনবার করে কোর কমিটির বৈঠক হবে। বলে ঠিক হয়েছে। বৈঠক হবে বোলপুর, সিউড়ি এবং রামপুরহাটে।
