AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Anubrata Mondal’s Brother: এমনই ভাবে বদলায় সময়! দাদা তিহাড়ে, মধ্যরাত পর্যন্ত রক্তাক্ত অবস্থায় থানার বাইরে পড়ে রইলেন অনুব্রতর ভাই

Anubrata Mondal's Brother: এলাকার যুবকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন অনুব্রতর ভাই সুমিতর।  কামরুল আলি ও আকাশ কুণ্ডু নামে দুই যুবক সুমিতকে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন। মেরে নাক-মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ

Anubrata Mondal's Brother: এমনই ভাবে বদলায় সময়! দাদা তিহাড়ে, মধ্যরাত পর্যন্ত রক্তাক্ত অবস্থায় থানার বাইরে পড়ে রইলেন অনুব্রতর ভাই
থানার বাইরে অনুব্রতর ভাইImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 27, 2023 | 12:45 PM
Share

বোলপুর: দশমীর রাতে বিসর্জনের পর মেরে নাক মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হল অনুব্রতর ভাইয়ের। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ফেলে যাওয়া হয় বোলপুর থানার বাইরে। অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য বীরভূমের বোলপুরে। অনুব্রতর ভাই সুমিতের অভিযোগ, তিনি কেষ্টর ভাই বলেই তাঁকে মারধর খেতে হয়েছে।

গরু পাচার মামলায় তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তিহার জেলে বন্দি। তাঁর ভাই সুমিত মণ্ডলকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলের নীচুপট্টির বাড়ি সংলগ্ন বোলপুরের বাড়িপুকুরের কাছে বিসর্জনের সময়ে ঘটনার সূত্রপাত।

এলাকার যুবকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন অনুব্রতর ভাই সুমিতর। কামরুল আলি ও আকাশ কুণ্ডু নামে দুই যুবক সুমিতকে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন। মেরে নাক-মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে বোলপুর থানার সামনেই ফেলে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ।

কিছুটা সুস্থ বোধ করে বোলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সুমিত। কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন তিনি। পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি বলে অভিযোগ। সুমিতের কথায়, “থানায় এসে সবটা জানানো সত্ত্বেও পুলিশ আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। অনুব্রত মণ্ডলের ভাই বলেই আমাকে মারধর করা হয়েছে। আর যেহেতু আমার দাদা তিহাড়ে বন্দি, তাই পুলিশ অসহযোগিতা করছে। আমি প্রচণ্ড অসুস্থ বোধ করছি৷ এটা বলার পরেও পুলিশ আমাকে হাসপাতালে নিচ্ছে না।” থানার বাইরে রক্তাক্ত অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলের ভাই সুমিত মণ্ডলকে৷ পরে তাঁকে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

বিতর্ক বরাবরই সঙ্গী থেকেছে এক সময়ের জেলা তৃণমূলের সভাপতির কেষ্টর। তাঁর নামে বীরভূমে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খেত। বিরোধী দলের নেতাদের প্রতি শাসানি, অশোভন উক্তি বহু বারই করেছেন। পুলিশকে ‘বোম মারুন’ বলতেও ছাড়েননি। পুলিশকে পাশে দাঁড় করিয়েই হুমকি দিয়েছিলেন ‘তাণ্ডবলীলা খেলে’ দেওয়ার। প্রেক্ষাপট সর্বত্রই আলাদা ছিল। কিন্তু কার্যত বীরভূমের পুলিশের উদ্দেশে একাধিকবার অনুব্রতকে বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় এ দৃশ্যও ধরা পড়েছে, যে পুলিশ অনুব্রতর পাশে ‘ঠুঁটো জগন্নাথই’। সেই অনুব্রতর মণ্ডলের ঠিকানা আজ তিহাড়ে। দীর্ঘদিন বীরভূমের মাটি কেষ্ট শূন্য। তাঁর না থাকার সঙ্গে সঙ্গে যে জেলার প্রশাসনেও হাওয়া বদলেছে, সে কথা নিজেই বললেন অনুব্রতর ভাই সুমিত। নিজেই বললেন, “আমি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রইলাম, পুলিশকে বারবার বললাম। কিন্তু আমাকে হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হল না।” স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেই কানাঘুষো চলছে, ‘সময় হয়তো এভাবেই বদলায়….’