Body Recovery: রাতে দেদার মদ্যপান, সকালে পুকুরে ভাসছে বীরভূমের মুরগি ব্যবসায়ীর দেহ
Deadbody Recovery: কী কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন পুলিশকর্মীরা।
তারাপীঠ: পুকুর থেকে উদ্ধার এক পোলট্রি ব্যবসায়ীর দেহ। জলের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ পরে থাকার ফলে ফুলে ফেঁপে উঠতে শুরু করেছিল দেহটি। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে দেহটি ভাসতে দেখেন পুকুরে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের তারাপীঠ থানা এলাকার তারাপুর গ্রামে। মৃতের নাম নিমাই চৌধুরী। পুলিশ ইতিমধ্যেই মাঝবয়সি ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করেছে। কী কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন পুলিশকর্মীরা।
নিমাই চৌধুরী নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি বীরভূমের মাড়গ্রাম থানা এলাকার বসোয়া গ্রামে। তারাপীঠ থানা এলাকায় কর্মসূত্রে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত ছিল। তারাপীঠে পোলট্রি মুরগির ব্যবসা রয়েছে তাঁর। সেই সূত্র ধরেই গতকালও গিয়েছিলেন তিনি তারাপীঠে। এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। খোঁজাখুঁজি শুরু হতেই, আজ সকালে জানা যায় তারাপীঠ থানার তারাপুর গ্রামে একটি পুকুরের মধ্যে ওই ব্যক্তির দেহ পড়ে রয়েছে। এদিন সকালে এলাকাবাসীরাই প্রথমে দেহটি পুকুরের মধ্যে ভাসতে দেখেন। দ্রুত তাঁরা খবর দেন তারাপীঠ থানায়। পুলিশকর্মীরা দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট মেডিক্যালের পুলিশ মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
এদিকে মৃতের দাদা প্রবীরকুমার চৌধুরী অভিযোগ তুলছেন, তাঁর ভাইকে খুন করা হয়েছে। আর এই ঘটনার নেপথ্যে সিদ্ধার্থ ঘোষ নামে এক ব্যক্তির যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তিনি। এই সিদ্ধার্থ হলেন মৃতের ব্যবসায়িক পার্টনার। একসঙ্গে পোলট্রির ব্যবসা করতেন তাঁরা। মৃতের দাদার বক্তব্য, গতসন্ধেয় নিমাই মদ্যপান করেছিল। সেই সময় নিমাইয়ের ব্যবসায়িক সঙ্গী সিদ্ধার্থও সঙ্গে ছিল বলে অভিযোগ পরিবারের। সেক্ষেত্রে আজ সকালে হঠাৎ করে পুকুর থেকে দেহ উদ্ধারের পর ওই ব্যবসায়িক সঙ্গীর দিকেই সন্দেহ বাড়ছে পরিবারের। পরিবারের সন্দেহ খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে নিমাইকে।
মৃতের দাদার মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে তারাপীঠ থানার পুলিশ। মৃতের ওই ব্যবসায়িক পার্টনার সিদ্ধার্থ ঘোষকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। তবে পুলিশ সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, মৃতের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন তারাপীঠ থানার তদন্তকারী পুলিশকর্মীরা।