Birbhum: মা মনসার খোলা চোখ হয়ে গেল বন্ধ, ‘জন্মে দেখিনি’, বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা
Birbhum: “অলৌকিক না অলৌকিক জানি না, এরকম ঘটনা আমরা আগে কখনও দেখিনি।” বলছেন এলাকার বাসিন্দারা। “বাস্তবের সঙ্গে এর কোনও মিল নেই। বিষয়টার উপর আমরা নজর রাখছি।” বলছে বিজ্ঞান মঞ্চ।
দুবরাজপুর: রোজকার মতো ভোর থেকেই মন্দিরে আসছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। চলছিল মন্দির পরিষ্কারের কাজ। কেউ চলে যাচ্ছিলেন প্রণাম করে। কিন্তু, মা মনসার (Goddess Mansa) চোখে চোখ পড়তেই চোখ কপালে উঠে যায় এলাকার বাসিন্দাদের। দেখা যায়, দেবীর চোখ একদিন আগে খোলা থাকলে আজ তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এদিন সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো বীরভূম (Birbhum) জেলার দুবরাজপুর পৌরসভার ডাঙ্গালতলার মনসা মন্দিরে। মা মনসাকে চোখ বন্ধ অবস্থায় দেখতে দুবরাজপুরের বিভিন্ন পাড়া, বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে দলে দলে মানুষ ছুটে আসতে শুরু করেন। এমনকী যে সকল ব্যবসায়ী দুবরাজপুর বাজার আসেন তাঁরাও ভিড় করেন এই মন্দিরের সামনে। মন্দিরের সেবায়েত দিলীপ গড়াই জানান, কী করে হয়েছে তা বলতে পারব না।
ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা সাগর দে বলেন, “আমরা সকালে এসে দেখি মা মনসার চোখ বন্ধ। ঘটনা চাউর হতেই চারদিকে শোরগোল শুরু হয়ে যায়। মন্দিরের সামনে প্রচুর মানুষের ভিড় হতে থাকে। আমরাও দেখে অবাক হয়ে যাই। এদিকে মন্দিরে সেবায়েত আসার পর দেখা যায় ফের চোখ খুলে গিয়েছে। অলৌকিক না অলৌকিক জানি না, এরকম ঘটনা আমরা আগে কখনও দেখিনি।” এই ঘটনাই বীরভূমের সিউড়িতে বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য দেবাশীষ পাল জানিয়েছেন, এটা সম্পূর্ণ অলৌকিক ঘটনা নয়। বাস্তবের সঙ্গে এর কোনও মিল নেই। বিষয়টার উপর আমরা নজর রাখছি।
আর এক স্থানীয় বাসিন্দা জানাচ্ছেন ঠাকুরের মুখ জল দিতে ধুতেই ফের খুলে যায় চোখ। এ কথা শুনেই অনেকে বলছেন হয়তো কোনওভাবে ঠাকুরের চোখে কেউ রং জাতীয় কিছু লাগিয়ে দিয়ে থাকতে পারে। সে কারণেই জল দিতেই সেই রং উঠে গিয়ে ফের চোখ খুলে গিয়েছে।