শান্তিনিকেতন: ফলক নিয়ে বিতর্কে শিরোনামে উঠে এসেছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর যে ফলক স্থাপন করা হয়েছিল, তাতে ছিল না রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। বুধবার ভাঙা হল সেই বিতর্কিত ফলক।এদিন সন্ধ্যায় বেশ কয়েকজনকে ভাঙতে দেখা যায় ফলক। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে আগেই ফলক সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই ফলক সরল।
সম্প্রতি বিশ্বভারতীকে ইউনেসকোর তরফ থেকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পাওয়া দেওয়া হয়। এরপর বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বাগানে একটি ফলক লাগিয়েছিলেন। সেই ফলক ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। আচার্য ও উপাচার্যের নাম থাকলেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ছিল না তাতে। আৎ অভিযোগ তুলে তৃণমূল প্রতিবাদ জানায়। ধরনা-মঞ্চও তৈরি করা হয়েছিল শান্তিনিকেতনে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম হাজরাকেও দেখা গিয়েছিল সেখানে। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অনুপমও।
এরপর ফলক বাতিল করার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রক। নির্দেশিকা জারি করা হয় কেন্দ্রের তরফে। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদও শেষ হয়েছে, দায়িত্ব নিয়েছেন সঞ্জয়কুমার মল্লিক। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরই শিক্ষামন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। দ্রুত ওই ফলক পরিবর্তন করার নির্দেশ দেয় শিক্ষামন্ত্রক।
আজ সেখানে নতুন ফলক লাগানো হয়েছে। সেখানে শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯০১ সালে গ্রামবাংলায় বিদ্যায়তন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।