Poush Mela: আদৌ কি এ বার শান্তিনিকেতনে হবে পৌষমেলা? বিশ্বভারতী ‘নিশ্চুপ’ থাকায় চরম অনিশ্চয়তা
Poush Mela: চলতি বছর ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতন পৌষমেলা পূর্বপল্লি মেলার মাঠে হওয়া নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

বীরভূম: ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠে করার দাবিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্যর দফতরের সামনে বলাকা গেটে বিক্ষোভ দেখাল শান্তিনিকেতন পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি। প্ল্যাকার্ড, পোষ্টার, ব্যানার নিয়ে বিশ্বভারতীর বলাকা গেটে বিক্ষোভ দেখান কমিটির সদস্যরা। বিশ্বভারতী পৌষমেলা না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা। এমনকী এই মর্মে বিশ্বভারতীতে বুধবার স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচিও নিয়েছেন তাঁরা।
শেষবার ২০১৯ সালে শান্তিনিকেতন পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল পূর্বপল্লির মেলার মাঠে। সেই বছর নির্ধারিত সময়ে মেলার ষ্টল তোলা নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিবাদ হয়। বিষয়টা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। এমনকী জল গড়ায় আদালত পর্যন্তও। পাশাপাশি দূষণ নিয়ে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের করা মামলায় আদালতের নির্দেশে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হয় বিশ্বভারতীকে। সূত্রের খবর, এই তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে পৌষমেলা ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না বিশ্বভারতী।
উল্লেখ্য, গত বছর পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা না হলে, বাংলা সংস্কৃত মঞ্চ ও বোলপুর ব্যবসায়ী সংগঠন উদ্যোগে বীরভূম জেলা পরিষদের বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে ছোট করে পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্য সরকারের তরফেও সহযোগিতা করা হয়। কিন্তু চলতি বছর ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতন পৌষমেলা পূর্বপল্লি মেলার মাঠে হওয়া নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ইতিমধ্যেই পৌষ মেলা করার জন্য চিঠি দিয়ে জানিয়েছে বিশ্বভারতীকে। ট্রাস্টের দাবি এখনও পর্যন্ত কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি বিশ্বভারতীর কাছ থেকে। পৌষ মেলা করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণের জলের প্রয়োজন হয়। এই জল সঙ্কট মেটানোর জন্য ব্যবহার করা হয় ভুবনডাঙার পৌষ মেলার মাঠের লাগোয়া বাঁধগুলিকে। কিন্তু ঘটনাচক্রে সংস্কারের অভাবে সেই বাঁধগুলো কচুরিপানায় মজে গিয়েছে। পৌষ মেলা করার জন্য ওই জলাশয়গুলির সংস্কারেরও সুপারিশ করেছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।
বোলপুর পৌরসভা তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বভারতীকে মেলা করার জন্য অনুরোধ করা হবে। পূর্বপল্লির মাঠেই পৌষ মেলা করা হয় তারও অনুরোধ করা হবে। কিন্তু পৌষমেলা নিয়ে বিশ্বভারতীর তরফে এখনও পর্যন্ত সদর্থক বক্তব্য মেলেনি। সব মিলিয়ে চলতি বছরেও শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলা করা নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চিতা তৈরি হয়েছে।
