পরাজয়ের জেরেই পদত্যাগ! অনুব্রতর অঙ্গুলিহেলনেই দুবরাজপুরে তৃণমূলের রদবদল?
Anubrata Mondal: তৃণমূলের দলীয় সূত্রে খবর, হেতমপুর, বালিজুড়ি ও গোয়ালিয়র পঞ্চায়েতের তিন প্রধান শুক্রবার ব্লক উন্নয়ন আধিকারিককে লিখিতভাবে ইস্তফা জমা দেন।
বীরভূম: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় সর্বতভাবে ভাল ফল করলেও দুবরাজপুরে হার হয়েছে ঘাসফুলের। সেই হারের ‘মাসুল’ দিতে নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিন পঞ্চায়েত প্রধান। সূত্রের খবর, জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) নির্দেশে এই ত্রয়ী-ইস্তফা।
তৃণমূলের দলীয় সূত্রে খবর, হেতমপুর, বালিজুড়ি ও গোয়ালিয়র পঞ্চায়েতের তিন প্রধান শুক্রবার ব্লক উন্নয়ন আধিকারিককে লিখিতভাবে ইস্তফা জমা দেন। সেই চিঠিতে নিজেদের ব্যক্তিগত কারণেই ইস্তফা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ওই তিন তৃণমূল নেতা। ওই তিন পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন যথাক্রমে, মহম্মদ জসিমউদ্দিন, মুনমুন ঘোষ ও চম্পা ঘোষ।
ব্যক্তিগত কারণ বলে দর্শালেও কেন এই পদত্যাগ? উঠছে প্রশ্ন। মহম্মদ জসিমউদ্দিন যদিও বলেন, “আমায় দল প্রধানের পদ দিয়েছিল। দলের সিদ্ধান্তেই আমি ইস্তফা দিয়েছি। দল যা বলবে তাই করব। এখানে এর কোনও অন্যথা নেই।” শাসক দলের অন্দরের খবর, বিধানসভা নির্বাচনে বীরভূমে একমাত্র দুবরাজপুরেই হার হয়েছে তৃণমূলের। সেই পরাজয়ের পরেই দলের ‘সংস্কারে’ মন দিয়েছে নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই এই তিন প্রধানকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি, এই তিন পঞ্চায়েত প্রধানকে সঙ্গে নিয়েই দুবরাজপুরে একটি দলীয় বৈঠক করেন অনুব্রত। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।
দুবরাজপুরের ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র ও জানিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের জেরেই এই পরিবর্তন। নতুন পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হলে সাধারণ মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছবে। নতুন মুখেরা যাতে সামনে এগিয়ে আসতে পারে সেই জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। যদিও এই পরিবর্তনের নেপথ্যে যে জেলা সভাপতি, তাঁর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আরও পড়ুন: খেলার ছলেই সর্বনাশ! ব্লেড চালিয়ে নিজের যৌনাঙ্গটাই কেটে ফেললেন মালদার যুবক