AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Journalist Beaten: বিভাসের ডেরায় আক্রান্ত TV9 বাংলার সাংবাদিক-ক্যামেরাপার্সন, মৌচাকে ঢিল পড়তেই রক্তচক্ষু?

West Bengal Recruitment Scam: টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি পৌঁছে গিয়েছিলেন সেই বিভাসের ডেরায়। সেখানে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ফের আক্রান্ত টিভি নাইন বাংলা। টিভি নাইন বাংলার দুই প্রতিনিধির উপর হামলা, মারধর। ভাঙা হয়েছে টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরা।

| Edited By: | Updated on: Feb 27, 2023 | 11:41 PM
Share

নলহাটি: রাজ্যে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ উঠে এসেছে। আর সেই অভিযোগের শুরু থেকেই সব খবর প্রকাশ করেছে টিভি নাইন বাংলা। দুর্নীতিতে নাম জড়ানো বিভাসের খবর আগেই দেখিয়েছি আমরা। এবার টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি পৌঁছে গিয়েছিলেন সেই বিভাসের ডেরায়। সেখানে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ফের আক্রান্ত টিভি নাইন বাংলা। টিভি নাইন বাংলার দুই প্রতিনিধির উপর হামলা, মারধর। ভাঙা হয়েছে টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরা। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মৌচাকে ঢিল পড়ার কারণেই রক্ষচক্ষু?

রাজ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে সর্বশেষ যে নামটি উঠে এসেছে, সেটি হল বিভাস অধিকারী। সোমবার সেই বিভাসের এলাকা বীরভূমের নলহাটিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি। সেখানে পৌঁছাতেই এক বীভৎস অভিজ্ঞতা। টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধিদের ঘিরে ধরে বিভাসের শাগরেদরা। মারধর করা হয় প্রতিনিধিদের। সাংবাদিকদের কাছে যে ফুটেজ ছিল, সেই ফুটেজ ডিলিট করতে বাধ্য করা হয়। ভাঙচুর করা হয় ক্যামেরা।

এদিন প্রথমে নলহাটিতে বিভাসবাবুর নাম যুক্ত থাকা একটি আশ্রমে পৌঁছে যান টিভি নাইন বাংলার দুই প্রতিনিধি। কিন্তু প্রথমে তাঁদের সেখানে ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে সেখানে একটি বি.এড কলেজের ছবি তোলেন প্রতিনিধিরা এবং তারপর বিভাসের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলেন টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি। এরপর আবার যখন তাঁরা আশ্রমের দিকে ফিরতে যান, তখন দুটি মোটরবাইক পথ আটকায়। গাড়ি থেকে নামিয়ে চালকের থেকে চাবি কেড়ে নেওয়া হয়। তারপর টিভি নাইন বাংলার সাংবাদিক ও ক্যামেরা পার্সনকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। প্রায় ৫০ জন গ্রামবাসী ঘিরে ফেলে তাঁদের। নেতৃত্বে ছিল বিভাস অধিকারীর দুই ছেলে। টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধিদের রাস্তায় ফেলে মুখে, পেটে, হাতে এলোপাথারি মারতে শুরু করে। প্রায় মিনিট দশেক ধরে চলে এই তাণ্ডব। টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধির ফোন কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধিদের ফেসবুক লাইভে এসে বলতে বাধ্য করা হয়েছে, যা তথ্য দেখানো হয়ে তা সমস্ত ভুল। নাহলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। একাধিকবার সাংবাদিকদের বলা হয়েছে, ‘তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। আগেও তারা খুন করেছে, আরও দুটি করবে। কিচ্ছু যায় আসে না।’ সেখান থেকে কোনওক্রমে প্রাণ হাতে নিয়ে হাইওয়েতে পৌঁছান এবং পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে। আপাতত তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, দুর্নীতিবাজরা এত সাহস পাচ্ছে কীভাবে? মাথায় কাদের হাত থাকলে এতটা সাহস হয়? বিভাস অধিকারীর এক ক্ষমতার জাল কতদূর ছড়িয়ে? কেন গ্রেফতার হবে না দুষ্কৃতীরা?