Viral Video: বিদ্যুতের খুঁটি নাকি চুরি গিয়েছে! সন্দেহের জেরেই আইন নিজহাতে তুলে নিলেন রক্ষকরাই
Birbhum Police: ইলামবাজারের শালডাঙা। মারধর চলছে সেখানকার এক ক্লাবে। কেন? শালডাঙায় বিদ্যুতের খুঁটি কাটছিলেন ছয় ব্যক্তি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সরকারি নথি নকল করে খুঁটি কাটা হচ্ছিল।
ঠিক কী অভিযোগ?
অভিযোগ বিদ্যুত্-এর খুঁটি চুরি। হাতেনাতে পাকড়াও যখন করা গেছে, হাতের সুখ করতে সমস্যা কোথায়? সেটাই করছেন আইনের রক্ষকরাই। ভাইরাল সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একটি ঘরের মধ্যে ৬জনকে আটক করে রাখা হয়েছে। সেখানে যাঁদের আটকে রাখা হয়েছে, তাঁদের গায়ে লাথি মারতে দেখা গিয়েছে পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তিকে। এর পর আর এক ব্যক্তিকে, সম্ভবত তিনি সিভিক পুলিশ, লাঠি নিয়ে অভিযুক্তের উপর চড়াও হতেও দেখা গিয়েছে ওই ভিডিয়োয়। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি TV9 বাংলা।
ইলামবাজারের শালডাঙা। মারধর চলছে সেখানকার এক ক্লাবে। কেন? শালডাঙায় বিদ্যুতের খুঁটি কাটছিলেন ছয় ব্যক্তি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সরকারি নথি নকল করে খুঁটি কাটা হচ্ছিল। হাতেনাতে অভিযুক্তদের পাকড়াও করেন গ্রামবাসীরা। ধৃতদের স্থানীয় একটি ক্লাবে আটকে রাখা হয়
ইলামবাজার থানায় খবর যায়। পুলিশ আসে। ক্লাবের মধ্যেই ধৃতদের বেধড়ক মারধর শুরু হয়। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে পুলিশের উর্দি পরা এক ব্যক্তি লাথি মারছেন ধৃতকে। হাতের সুখ করতে পিছপা নন সিভিক ভলান্টিয়ারও।
আইনের রক্ষক কি এভাবে আইন হাতে তুলে নিতে পারেন? ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড়। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে আশ্বাস পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠির। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘ওই ঘটনাটির কথা শুনেছি। সেখানে কী ঘটেছে, তা আমরা খতিয়ে দেখাছি।’’
এদিকে, ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে বিদ্যুত দফতরের কর্মীরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতে পেশ করা হয় তাদের। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। এর আগে খাস কলকাতা শহরে গ্রিন পুলিশের এভাবে সাধারণ নাগরিককে হেনস্থা করার ছবি সামনে এসেছিল। পায়ের বুট নাগরিকের বুকে পিষে দেওয়ার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল মহানগরে। ফের পুলিশের এ হেন আচরণের ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ায় উঠছে প্রশ্নও।
দেখুন ভিডিয়ো: