Sonajhuri Haat: উঠে যাবে সোনাঝুরির হাট? এখন থেকেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ব্যবসায়ীরা
Bolpur: এখানেই শেষ নয়, বনদফতরের রেঞ্জার জ্যোতিষ বর্মণ জানান যে, সোনাঝুরি হাট কর্তৃপক্ষকেও নোটিস করা হতে পারে। প্রয়োজনে হাট তুলে নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত। কারণ বনদফতরের জায়গাতেই হাট বসে। তাই যদি ব্যবসায়ীদের যাতে তুলে দেওয়া হলে তারা পুনর্বাসন চাইছেন।

বোলপুর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর থেকে শুরু হয়েছে বেআইনি জবরদখল উচ্ছেদের কাজ। বাদ যায়নি বোলপুরও। এবার শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাটের ছ’টি বাড়ি ও দু’টি রিসর্টকে নোটিস দিল বনদফতর। ইতিমধ্যে ওই বাড়ি ও রিসর্ট মালিকদের কাছ থেকে নির্দৃষ্ট নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। যদি কাগজপত্র না থাকে তাহলেও বৃহত্তর পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, বনদফতরের রেঞ্জার জ্যোতিষ বর্মণ জানান যে, সোনাঝুরি হাট কর্তৃপক্ষকেও নোটিস করা হতে পারে। প্রয়োজনে হাট তুলে নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত। কারণ বনদফতরের জায়গাতেই হাট বসে। তাই যদি ব্যবসায়ীদের যাতে তুলে দেওয়া হলে তারা পুনর্বাসন চাইছেন। হাটের দায়িত্বে থাকা তন্ময় মিত্র বলেন, “আমরা নোটিস যদিও পাইনি। কয়েকটি হোটেল ও রিসর্টকে দিয়েছে। নথি দিতে বলা হয়েছে। আমাদের কাছে যদি নোটিস আসে বলব পুনর্বাসন যাতে দেওয়া হয়।”
এছাড়াও বনদফতর সোনাঝুরি শান্তিনিকেতন এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি এবং রিসর্টকেও নোটিস করেছে বোলপুর পৌরসভা। বনদফতরের আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করার পর বাড়ির মালিক ও রিসোর্টের মালিকরা জানান, “আইন আইনের কাজ করবে। যদি জমি বনদফতরের হয় তাহলে আমরা ছেড়ে দেব।” পাশাপাশি বনদফতরের এক আধিকারিক জ্যোতিষ বর্মন জানান, যাদেরকে নোটিশ করা হয়েছিল তারা বাড়ির এবং রিসর্টের কাগজপত্র জমা দিয়ে গিয়েছে। আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি কাগজপত্র বৈধ না অবৈধ। তিনি আরও বলেন, “আমরা সার্ভে করেছি। দেখতে পেয়েছি কয়েকটি রিসর্ট ও বাড়ি আমাদের জমির মধ্যে রয়েছে। সেই কারণে বাড়ির মালিক ও রিসর্টের মালিককে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাদের সাপেক্ষে যদি নোটিস থাকে সেগুলি আমরা চেক করব। তবে হাট নিয়ে এখনও নির্দেশ আসেনি। অনেকদিন ধরে হাট বসছে। তবে ভার্চুয়ালি জানানো হয়েছে সরে যেতে। অর্ডার এলে নোটিস আসবে।”
