কোচবিহার: বাংলাদেশ সীমান্তের গীতালদহ এলাকা। সেই সীমান্তে নেই কোনও কাঁটাতার। অবাধ যাতায়াত রাতের অন্ধকারে। তার থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে তিনটি বুথ। ভোমরাপয়স্তি নামক এই এলাকার তিনটি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী কিছুটা হলেও বাড়তি। পাশেই রয়েছে বিএসএফ ক্যাম্প। কিন্তু বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সিআরপিএফ। অরক্ষিত সীমান্ত থাকলেও সতর্ক প্রহরীদের কারণে এখন আর কেউ ওপার থেকে এসে ভোট দিয়ে চলে যেতে পারে না, দাবি করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অপ্রীতিকর ঘটনা বা কোনওরকম বিশৃঙ্খলা করতে দেয় না বিএসএফ। কিন্তু অতীতের তুলনায় এবার যেন বাড়তি নজরদারি।
এই জেলায় বাকি বুথগুলির তুলনায় এই তিনটি বুথে নজরদারি পর্যাপ্ত মাত্রায় রাখা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের বারবার টহল দিচ্ছে এলাকা। বিএসএফের তরফে ও সীমান্ত সম্পূর্ণ নিশ্চিদ্র করে ফেলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথে ভেতরে অথবা ছাদে মোতায়েন। নিশ্চিন্তে বুথের ভিতরে কাজ করছেন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মী এবং আধিকারিকরা।
তবে সীমান্ত লাগোয়া বুথ হওয়ায় চিন্তা তো থাকেই। কোন সময় কি ধরনের ঘটনা ঘটে যায় তা তো কেউ আর আগে থেকে বলতে পারে না। তাতেই কিছুটা হলেও ভোটের আগের রাতে উদ্বেগে স্থানীয় বাসিন্দাদের। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, যে পরিমাণে জওয়ান মোতায়েন হয়েছে, সামান্য চিৎকার এখানে করতে দেওয়া হবে না। বুথের ভিতরে পর্যাপ্ত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এছাড়াও যেখানে ইভিএম মেশিন বসানো হবে সেটা যাতে কোনওভাবেই জানালার পাশে না হয় তাও দেখে নেওয়া হয়েছে নির্বাচন আধিকারিকদের তরফে।