Indo-Bangladesh Border: লুকিয়ে লুকিয়ে সীমান্তে চলছিল ‘খেলা’, দেখা মাত্রই বাধা BSF-র! শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হল বাংলাদেশি সেনা
Indo-Bangladesh Border: সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফের জওয়ানদের রীতিমতো লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করা হয় বলে জানা যাচ্ছ। এদিকে ততক্ষণে অন্যান্য জায়গায় কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের কাছে খবর চলে যায়। মুহূর্তই চার গাড়ি ভর্তি করে বিএসএফ জওয়ানরা সীমান্তে পৌঁছায়।

কোচবিহার: ধীরে ধীরে শান্ত হলেও অশান্তির আবহ কাটছে না কিছুতেই। এবার সীমান্ত ঘেঁষে বিজিবি-র সেন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। সূত্রের খবর, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের দেড়শো গজের মধ্যেই বিজিবি-র তরফে এই সেন্ট্রি নির্মাণ করা হয়েছে। অভিযোগ, বিএসএফের তরফে বারবার এ নিয়ে আপত্তি জানানো হলে তাতে কোনও কর্ণপাতই করেনি বিজিবি। বৈঠক ডাকা হলেও পাত্তা দেয়নি। প্রতিবাদে সোমবার সীমান্তের জিরো লাইনে কাঁটাতারের বেড়া দিতে যায় ভারতীয় গ্রামবাসীরা। কিন্তু বিজিবি এবং বাংলাদেশের নাগরিকরা বাধা দিতে আসে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি মেখলিগঞ্জ সীমান্তের নাকারের বাড়ি গ্রামে।
সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফের জওয়ানদের রীতিমতো লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করা হয় বলে জানা যাচ্ছ। এদিকে ততক্ষণে অন্যান্য জায়গায় কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের কাছে খবর চলে যায়। মুহূর্তই চার গাড়ি ভর্তি করে বিএসএফ জওয়ানরা সীমান্তে পৌঁছায়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় বাংলাদেশিরা। শেষ পর্যন্ত বিএসএফের রণংদেহি মূর্তি দেখে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে বিজিবি। ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গে সমস্যা নিয়ে আলোচনাও হয়। ওই বৈঠকেই বাংলাদেশের বিজিবি সেন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ ও অস্থায়ী কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখার সীদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা অনুপ রায়ের দাবি, নিয়ম অমান্য করে ভুট্টা খেতের আড়ালে বিজিবি সেন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ করছিল। বিএসএফের নজরে এলে তাঁরা বাধা দেয়। কিন্তু তারপরেও চুপিসাড়ে ওরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। তাঁর কথায়, “এ কারণেই আমরা নিজেরাই খোলা সীমানায় অস্থায়ী কাঁটাতারের বেড়া দিতে যাই। তাতে আমাদের উপর তেড়ে আসে বাংলাদেশিরা। বিএসএফ আমাদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের সীমান্ত থেকে হটিয়ে দেয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশিরা আবার বিএসএফ জওয়ানদের উপর চড়াও হয়।”





