AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC: ‘টাকা তুলতে অবজার্ভার নিয়োগ করেছেন জেলা সভাপতি’, বিস্ফোরক তৃণমূলের ব্লক সভাপতি

TMC Block President: তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, "ব্লক সভাপতির তৈরি করা অঞ্চল কমিটির কোনও বৈধ্যতা নেই।" এই শোকজের কথা সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেই ফুঁসে উঠেন ব্লক সভাপতি সজল সরকার। তিনি অভিযোগ করেন, দলের নেতৃত্বের টাকা তোলার ৩০টির বেশি প্রমাণ রয়েছে তাঁর কাছে।

TMC: 'টাকা তুলতে অবজার্ভার নিয়োগ করেছেন জেলা সভাপতি', বিস্ফোরক তৃণমূলের ব্লক সভাপতি
সজল সরকার (বাঁদিকে), অভিজিৎ দে ভৌমিক (ডানদিকে) Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 19, 2025 | 5:45 PM
Share

কোচবিহার: দল তাঁকে শোকজ করতেই বিস্ফোরক তৃণমূলের কোচবিহার ২ নম্বর ব্লক সভাপতি সজল সরকার। তোপ দাগলেন জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিককে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অভিযোগ, দলে গোষ্ঠীকোন্দলে মদত দিচ্ছেন জেলা সভাপতিই। পুরোনো নেতাদের দলে কোণঠাসা করে রাখছেন। এমন লোকেদের দায়িত্ব দিচ্ছেন, যাঁরা ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান প্রকল্প’ থেকে ১০ শতাংশ টাকা তোলার কাজে নেমেছেন। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির এমন বিস্ফোরক অভিযোগে জেলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে।

জেলা ও ব্লক নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে নাভিশ্বাস উঠেছে কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে। সজল সরকার কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে একাধিক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। সজল সরকারের অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের কমিটি গঠন করেছেন জেলা সভাপতি। এখানেই না থেমে ব্লক সভাপতি বলেন, “জেলা সভাপতি তোলাবাজদের ব্লকের অবজার্ভারের দায়িত্ব দিচ্ছেন। যাঁরা আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান প্রকল্প থেকে ১০ শতাংশ টাকা তুলছেন।”

সম্প্রতি ব্লকের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করার পর অঞ্চল কমিটি গঠন করেন সজল সরকার। ব্লক সভাপতি অঞ্চল কমিটি গঠন করতে পারেন না জানিয়ে সজলকে শোকজ করেন জেলা সভাপতি। রবিবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, “ব্লক সভাপতির তৈরি করা অঞ্চল কমিটির কোনও বৈধ্যতা নেই।” এই শোকজের কথা সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেই ফুঁসে উঠেন ব্লক সভাপতি সজল সরকার। তিনি অভিযোগ করেন, দলের নেতৃত্বের টাকা তোলার ৩০টির বেশি প্রমাণ রয়েছে তাঁর কাছে।

এখনও শোকজের চিঠি পাননি বলে জানিয়ে সজল সরকার বলেন, “চিঠি পেলেও জেলা সভাপতিকে জবাব দেব না। রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব। যদি রাজ্য নেতৃত্ব বাদ দেয় দেবে।” দলের পুরোনো নেতাদের নতুন জেলা সভাপতি গুরুত্ব দেন না বলেও তিনি অভিযোগ করেন।