চলল বেপরোয়া কিল-চড়-ঘুষি! সহ শিক্ষকদের ‘মারে’ স্কুলেই জ্ঞান হারালেন প্রধান শিক্ষক
"আচমকাই আমার ঘরে কয়েকজন ঢুকে হম্বিতম্বি করতে লাগলেন। চড়, থাপ্পড়, ঘুষিও মারা হল আমাকে। আমি তো হতভম্ব। আতঙ্কিত। এর পিছনে চক্রান্ত কাজ করছে।"
কোচবিহার: স্কুলের ভিতরেই প্রধান শিক্ষককে বেধড়ক ‘মার’ সহ শিক্ষকদের। চলল কিল, চড়, ঘুষি। ‘মার’ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হল প্রধান শিক্ষককে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা কোচবিহারের মণীন্দ্রনাথ হাইস্কুলে।
প্রধান শিক্ষক প্রফুল্ল মজুমদারের দাবি, তাঁর স্কুলে কয়েকটি বিষয়ে শিক্ষক পদ খালি রয়েছে। সেগুলি পূরণের প্রক্রিয়া চলছে। তবে সহ-শিক্ষকদের একাংশ শুক্রবার দাবি করেন, শনিবারের মধ্যেই সেই সব পদ পূরণ করতে হবে।
প্রধান শিক্ষকের বয়ান অনুযায়ী, শুক্রবার সহ-শিক্ষকদের একাংশ তাঁর ঘরে ঢুকে হম্বিতম্বি করতে থাকেন। শূন্যপদ একদিনেই পূরণ করার জন্য চাপ দিতে থাকেন তাঁরা। সেটা সম্ভব নয় বলায় সহ-শিক্ষকরা অভিভাবকদের প্রতিনিধিকে প্রধান শিক্ষকের ঘরে ঢুকিয়ে দেন। অভিযোগ, এরপরই চলে হামলা।
স্কুলের ভিতরেই সহ- শিক্ষকরা চড়াও হন প্রধান শিক্ষকের ওপর। চলতে থাকে মারধর। অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রফুল্ল মজুমদার। তাঁকে এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত প্রধান শিক্ষকের কথায়, “চড়, থাপ্পড়, ঘুষিও মারা হল আমাকে। আমি তো হতভম্ব। আতঙ্কিত। এর পিছনে চক্রান্ত কাজ করছে।”
যদিও প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যে উঠে আসছে আরও একটি দিক। আক্রান্ত প্রফুল্ল মজুমদারের অভিযোগ, এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদত রয়েছে স্কুলেরই একাংশ কর্মীর। তবে এর পিছনে রাজনৈতিক যোগ রয়েছে কিনা, তা ক্যামেরার সামনে খোলসা করতে চাননি তিনি।
তবে প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের নেতা বলেন, “ওঁ আমাদের সংগঠনের সদস্য। আমাদের প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন, ওঁকে ওখানে বেশ কয়েকজন থাকতে দিতে চাইছেন না। সেখানে স্কুলেরই কয়েকজন জড়িত। মদত রয়েছে আমাদের এমসি কমিটিরও কয়েকজন সদস্যের। তবে কীভাবে অভিভাবকদের প্রধান শিক্ষকের ঘরে ঢুকিয়ে এই ধরনের কাজ করলেন সহ শিক্ষকরাই, তা ভাবাচ্ছে আমাদের। অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা।”