South Dinajpur: বিবাহিত সিভিক ভলান্টিয়ারকে ‘ব্ল্যাকমেল’ প্রেমিকার, নিস্তার পেতে চরম পদক্ষেপ
Civic Volunteer committed suicide: জানা গিয়েছে, মহিলা যে টাকা চেয়েছিলেন, তার ফোন রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে। তার উপর ভিত্তি করেই মৃতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল জানিয়েছেন। এদিকে, মৃতের জামাইবাবু স্বপন বিশ্বাস বলেন, যদি তাঁর শ্যালক মৃত্যুর পিছনে ওই মহিলার হাত থাকে, তাহলে যেন তাঁর কঠোর শাস্তি হয়।

বালুরঘাট: বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ও ছোট সন্তান। তারপরও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। আর প্রেমিকাই তাঁদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করছিলেন বলে অভিযোগ। অবশেষে এই সব থেকে নিস্তার পেতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন বালুরঘাট থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার। শনিবার রাতে নিজের ঘর থেকেই গোবিন্দ হালদার(৩৪) নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। রবিবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। অন্যদিকে মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের প্রেমিকার বিরুদ্ধে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে গোবিন্দ হালদারের পরিবার। লিখিত অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গোবিন্দ হালদারের বাড়ি বালুরঘাট শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের একে গোপালন কলোনি এলাকায়। বালুরঘাট থানার অধীনে ডিউটি করতেন। বছর দুয়েক আগে পাড়াতেই বিয়ে করেন ওই যুবক। তাঁদের একটি ১৬ মাসের পুত্রসন্তান রয়েছে। অভিযোগ, সন্তান হওয়ার পর গোবিন্দ প্রতিবেশী এক গৃহবধূর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ওই মহিলা গোবিন্দর থেকে বয়সে অনেকটাই বড়। কিছু দিন পরই বিষয়টি বাড়িতে জানাজানি হয়। এরপর প্রায় দু’মাস প্রেমিকাকে নিয়ে গোবিন্দ ভাড়াবাড়িতে চলে যান। প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে তাঁরা নিজেদের বাড়ি ফিরে আসেন৷
অভিযোগ, বাড়ি ফিরে আসার পর থেকেই গোবিন্দকে টাকার জন্য প্রেমিকা চাপ দিতেন। কয়েকবার টাকাও দিয়েছিলেন গোবিন্দ। আবার নতুন করে ২ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। টাকা না দিলে দু’জনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ভাইরালের হুমকি দেওয়া হয়। যা নিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। তারপরই গতকাল তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
জানা গিয়েছে, মহিলা যে টাকা চেয়েছিলেন, তার ফোন রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে। তার উপর ভিত্তি করেই মৃতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল জানিয়েছেন। এদিকে, মৃতের জামাইবাবু স্বপন বিশ্বাস বলেন, যদি তাঁর শ্যালক মৃত্যুর পিছনে ওই মহিলার হাত থাকে, তাহলে যেন তাঁর কঠোর শাস্তি হয়।
