Youth Death Patiram: অশান্তি মিটিয়ে স্ত্রীকে আনতে গিয়েছিলেন, পরে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের ‘মারধরে’ মৃত্যু যুবকের

Patiram: পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পতিরাম থানার পুলিশ। এদিকে মৃতের পরিবারের তরফ থেকে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

Youth Death Patiram: অশান্তি মিটিয়ে স্ত্রীকে আনতে গিয়েছিলেন, পরে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের 'মারধরে' মৃত্যু যুবকের
স্ত্রীকে আনতে গিয়ে মৃত্যু (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 14, 2023 | 4:18 PM

পতিরাম: স্ত্রীকে আনতে গিয়ে জামাইকে মারধরের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার ভোর রাতে মৃত্যু হয় যুবকের। মৃতের নাম বিজয় হাঁসদা(৩১)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম থানার অন্তর্গত নাজিপুর হাইস্কুল পাড়ায় ৷ এ দিকে পুলিশ মঙ্গলবার দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এনিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পতিরাম থানার পুলিশ। এদিকে মৃতের পরিবারের তরফ থেকে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, প্রায় বছর তিনেকে আগে নাজিরপুরের বিজয় দেখাশুনা করে বিয়ে করেছিলেন কুমারগঞ্জ থানার সুন্দরপুরে ৷ বিয়ের পর কিছু দিন সব কিছু ঠিকই ছিল। তবে বিয়ের বছর ঘুরতেই শুরু হয় দাম্পত্য জীবনে অশান্তি। স্বামী স্ত্রীর বচসা বাড়তেই স্ত্রী রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যায়। এরপর একাধিকবার স্ত্রীকে আনার জন্য গিয়েছিলেন বিজয়৷ কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। প্রায় ছয় সাত মাস আগে স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়ি আনতে গেলে বিজয়কে মারধর করা হয় বলেই অভিযোগ। মারধর করে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা ৷ সেই সময় গ্রামে সালিশি সভা বসে। দুই পক্ষের মীমাংসায় স্ত্রীকে বাড়ি আনে বিজয়।

কিন্তু কিছুদিন পরেই ফের স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যায় ৷ এরপর গত রবিবার বিকেলে স্ত্রীকে আনতে ফের সুন্দরপুরে যায় বিজয়। গতকাল সকালে শ্বশুর বাড়ি থেকে ফোন করে বলা হয় বিজয়ের অবস্থা ভাল না। এরপর খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা বিজয়কে রাতে নাজিরপুরে নিয়ে চলে আসে ৷ এদিকে সকাল হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসার কথা থাকলেও ভোর রাতে তার মৃত্যু হয় বাড়িতেই৷ এদিকে বিষয়টি জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে যায় পতিরাম থানার পুলিশ। পরে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়৷ এদিকে মৃতের কানের পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেই জায়গা থেকে পরিবার পরিজনদের অভিযোগ বিজয়কে মারধর করা হয়েছে৷ তার কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর৷ এনিয়ে তাঁরা পতিরাম থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন৷ তবে কুমারগঞ্জে ঘটনা ঘটায় ওই থানাতেও বিষয়টি জানানোর কথা বলা হয়।

এ বিষয়ে, মৃতের আত্মীয় ক্ষিতীশ হাঁসদা বলেন, “ভাইপো রবিবার বিকেলে স্ত্রীকে আনতে কুমারগঞ্জে গিয়েছিল। কাল সকালে বলা হয় বিজয় অসুস্থ। তাঁকে না নিয়ে আসলে মারা যাবে সে। এদিকে খবর পেয়ে তাঁকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলেই অনুমান। কারণ কানের পাশে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।”

এবিষয়ে মৃত যুবকের বন্ধু প্রসেনজিৎ হেমব্রম বলেন, “বিয়ের বছর পর থেকেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। মাস ছয়েক আগে স্ত্রীকে আনতে গেলে তাকে মারধর করে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। ওই সময় সালিশি সভার মাধ্যমে বিষয়টি মেটানো হয়। স্ত্রীকে বাড়িতে আনার পর ফের অশান্তি শুরু হয়। গত রবিবার স্ত্রীকে আনতে গেছিল সে। এবারও তাকে মারধর করা হয়েছে। তা না হলে কি করে মৃত্যু হল। এনিয়ে আমরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।”

অন্যদিকে পতিরাম থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি জানতে পেরে দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে৷