South Dinajpur: পুলিশ মর্গের ফ্রিজার ‘বিকল’, লাশকাটা ঘরের গন্ধে গা পাকিয়ে ওঠে স্থানীয়দের

Balurghat: বালুরঘাট হাসপাতালের সুপার পার্থসারথি মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া, হাসপাতাল চত্বরে থাকা মর্গটি পুলিশ মর্গ। তাই পুরো বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে।

South Dinajpur: পুলিশ মর্গের ফ্রিজার 'বিকল', লাশকাটা ঘরের গন্ধে গা পাকিয়ে ওঠে স্থানীয়দের
দেড় মাস ধরে কার্যত বিকল পুলিশ মর্গের ফ্রিজার। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2021 | 12:43 PM

দক্ষিণ দিনাজপুর: প্রায় দেড় মাস ধরে কার্যত বিকল বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল (Balurghat Hospital) চত্বরে থাকা পুলিশ মর্গের ফ্রিজার। অভিযোগ, ঠিকমতো ঠান্ডা হচ্ছে না মেশিন। ফলে মৃতদেহ বেশি দিন রাখাও সম্ভব হচ্ছে না। অভিযোগ, কোনও দেহ একদিনের বেশি থাকলেই তা থেকে বের হচ্ছে দুর্গন্ধ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিত ভাবে জানিয়েছেন মর্গের কর্মীরা। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি বলেই সূত্রের দাবি। এদিকে মর্গের ফ্রিজার ‘বিকল’ থাকায় দুর্গন্ধের ভয়। তার উপর আবার রোগ ছড়ানোর আশঙ্কাও তাড়া করছে এলাকার লোকজনকে। যদিও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় রয়েছে একটি মাত্র পুলিশ মর্গ। বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল চত্বরে রয়েছে এই মর্গটি। যেখানে মোট ছ’টি ফ্রিজার রয়েছে। এছাড়াও বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রয়েছে মর্গ। সেখানে ছ’টি ফ্রিজার আছে। তবে সেখানে ময়না তদন্তের জন্য যে সমস্ত দেহ আনা হয়, তা রাখা হয় না।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ন’টি থানা এলাকা থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর যে দেহ, তা ময়না তদন্তের জন্য আনা হয় বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল চত্বরে থাকা পুলিশ মর্গে। মাসে গড়ে ১৪০-১৫০টি দেহ আসে ময়না তদন্তের জন্য। অভিযোগ, পুলিশ মর্গের ফ্রিজারগুলি মাস দেড়েক ধরে খারাপ হয়ে পড়ে আছে। ঠান্ডা কম হওয়ার ফলে মৃতদেহ বেশিদিন রাখা সম্ভব হচ্ছে না। দেহে পচন ধরছে এক দু’ দিন যেতে না যেতেই। এমনকী পচনশীল কোনও দেহ এলে তা অন্যত্র রেফারও করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।

এমনও অভিযোগ, ঠান্ডা কম হওয়ার পাশাপাশি ফ্রিজারের অন্যান্য যন্ত্রাংশতেও দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। পুলিশ মর্গের ফ্রিজার খারাপ থাকায় এলাকায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। করোনা আবহের মধ্যে নয়া আতঙ্ক, এ ভাবে অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় মৃতদেহ রাখলে নানান রোগ ছড়াতে পারে!

এ বিষয়ে শববাহী গাড়ির চালক অমিত মোহন্ত বলেন, “আগে এরকম দুর্গন্ধ পেতাম না। আমরা তো রোজই এখানে গাড়ি দাঁড় করাই। আজকাল এখানে এলেই বাজে গন্ধ নাকে যায়। এই নিয়ে অসুখও ছড়াতে পারে। এক-দেড় মাস হল এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এটা ঠিক হলে ভাল হতো। এখন তো এমনিই করোনার ভয়। তার মধ্যে এসব হলে রোগ ছড়ানোর ভয়ও থাকে।”

এলাকার বাসিন্দা অজয় ভাণ্ডারীর কথায়, “মর্গের ফ্রিজগুলি খারাপ হয়ে পড়ে আছে। উটকো গন্ধ যায় নাকে। দেড় মাস ধরে এ ভাবে পড়ে আছে। এবার তো অসুখ বিসুখ ছড়াবে। এটাই ভয় হচ্ছে আমাদের। আমরা তো আর এখানে ডিউটিতে আসি না। এখানেই বাস। আমাদের অসুবিধাটা অনেক বেশি।”

যদিও এ প্রসঙ্গে বালুরঘাট হাসপাতালের সুপার পার্থসারথি মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া, হাসপাতাল চত্বরে থাকা মর্গটি পুলিশ মর্গ। তাই পুরো বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে অভিযোগটি ডিআইজির কাছেও জানানো হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, “বিষয়টি জানি। সমস্যার সমাধানেরও চেষ্টা করা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: TMC Goa: আরব সাগর তীরেও এবার ঘাসফুল, গোয়ায় পৌঁছলেন ডেরেক, প্রসূনরা