AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Didir Suraksha Kavach : তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে পা ছড়িয়ে বসে নৈশভোজে পুলিশ কর্তা, পাশে MLA

Didir Suraksha Kavach : আক্রমণে বিজেপি-সিপিএম। প্রশ্ন তুলছেন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। দল আর প্রশাসন কি এক? উঠছে সেই প্রশ্নও। আক্রমণ করেছেন অনুপম হাজরাও।

Didir Suraksha Kavach : তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে পা ছড়িয়ে বসে নৈশভোজে পুলিশ কর্তা, পাশে MLA
| Edited By: | Updated on: Mar 22, 2023 | 11:10 PM
Share

বারুইপুর : তৃণমূল কর্মীর (Trinamool Worker) বাড়িতে বিধায়কের সঙ্গে মেঝেতে বসে রাতের খাবার খেলেন জয়নগর থানার আইসি রাকেশ চট্টোপাধ্যায়। সেই ছবিকে হাতিয়ার করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। প্রশ্ন তুলছেন অনুপম হাজরার মতো বিজেপি (BJP) নেতারা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা এলাকার বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতে দিদির সুরক্ষা কবচ (Didi’s Suraksha Kavach) কর্মসূচি পালন করা হয়। সেই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পর রাতে এলাকারই এক দলের কর্মীর বাড়িতে রাতের খাওয়া সারেন বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) বিভাস সর্দার। তাঁর সঙ্গেই একযোগে বসে ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করতে দেখা গিয়েছে জয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাকেশ চট্টোপাধ্যায়কে। 

খাওয়া-দাওয়ার সেই ছবি বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে আপলোড করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। যদিও এই ছবিগুলির সত্যতা যাচাই করেনি টিভি-৯ বাংলা। ওই ছবিগুলিকেই হাতিয়ার করে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা আক্রমণ শানাতে শুরু করেছেন। প্রশ্ন তুলছেন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। দল আর প্রশাসন কি এক? উঠছে সেই প্রশ্নও। টুইটারে এক ফেসবুক লিঙ্ক শেয়ার করে অনুপম হাজরা লেখেন, ‘ইউনিফর্ম পড়া পুলিশকে দিয়ে কিভাবে সংগঠন করাতে হয় তা তৃণমূলকে দেখে শেখা উচিত! খুব যদি ভুল না করি, পুলিশের উর্দিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার অন্তর্গত জয়নগর থানার আইসি!’ যদিও বিতর্কের আবহে তৃণমূলের তরফে পোস্ট করা অনেক ছবিই ইতিমধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। 

যদিও এটা দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি ছিলই না বলে দাবি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সর্দার। পাল্টা বিরোধীদের দিকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “বিরোধীরা একটু ভাল করে খোঁজ নিয়ে দেখুক ওটা দিদির সুরক্ষা কবচের অনুষ্ঠান ছিল না। ওটা এলাকার মাদ্রাসার একটা অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠান শেষেই এলাকার এক ব্যক্তির বাড়িতে আমাদের আমন্ত্রণ ছিল। সেখানে একসঙ্গে আমরা খাওয়া-দাওয়া করি। অসত্য খবর পরিবেশন করাটা ঠিক নয়। বিরোধীরা আসলে মিডিয়াতে আছে। ওখানেই ওদের দেখা যায়। মানুষের কাছে, জনতার কাছে মমতা আছে। এটা সর্বত্রই সত্য। মানুষের হৃদয়ে রয়েছেন মমতা।”

তবে তাতে আক্রমণের ঝাঁঝ কমেনি বিরোধীদের। এলাকার সিপিএম নেতা অপূর্ব প্রামাণিক বলেন,, “প্রশাসন আর তৃণমূল আলাদা বলে কিছু নেই। সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। এটা তারই প্রতিচ্ছবি। আর দিদর দূতে বেরোলেই তো তৃণমূলের বড় বড় মুখেরা মার খাচ্ছে। তাই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বেরোচ্ছে।” তোপ দেগেছেন এলাকার বিজেপি নেতারাও। বিজেপি নেতা সুনীপ দাস বলেন, “এটা অবাক করা কাণ্ড। দলীয় কর্মসূচিতে বিধায়কের পাশে বসে পা ছড়িয়ে খাচ্ছেন আইসি। এটা পশ্চিমবঙ্গেই সম্ভব। পুলিশকে তো পার্টির অংশ করে ফেলেছে তৃণমূল।”