Balurghat: ‘কালকে তো আমার বরও ওর কাছে যেতে পারে…’, তরুণীকে হাতেনাতে ধরতেই পাড়া ছাড়া করতে পুলিশের দ্বারস্থ গ্রামের মহিলারা
Balurghat: হাজিপুরেই ওই মহিলার বাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাইরে এক লোক দেখানো দোকান থাকলেও আসলে বাড়িতে দেহ ব্যবসা করেই পেট চালান ওই মহিলাও। আগেও তাঁকে তাঁর কাজকর্মের জন্য সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি।

বালুরঘাট: প্রায়শই আসছে অচেনা যুবক, যুবতী। কারও হাতে কোল্ড ড্রিঙ্কসের বোতল, কারও হাতে চিপস। বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আলো। মাঝে আবার মদের আসরও বসছে! কিছু একটা যে হচ্ছে তা আগেই টের পেয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু, অচেনা যুবক-যুবতীদের আনাগোনা বাড়তেই সন্দেহটা আরও তীব্র হয়। এরইমধ্যে এলাকার লোকজন জানতে পারেন ভিতরে চলছে দেহ ব্যবসা। আর তা করছেন এলাকারই এক মহিলা ও তাঁর মা। তারপর থেকেই তক্কে তক্কে ছিল গোটা গ্রাম। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল এক যুগল। তা ঘিরেই উত্তাল বালুরঘাট ব্লকের ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজিপুর গ্রাম।
এই হাজিপুরেই ওই মহিলার বাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাইরে এক লোক দেখানো দোকান থাকলেও আসলে বাড়িতে দেহ ব্যবসা করেই পেট চালান ওই মহিলাও। আগেও তাঁকে তাঁর কাজকর্মের জন্য সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। উল্টে মেয়েকে এই কাজে সাহায্য করতে থাকে মা। গ্রামের এক মহিলা বলছেন, “আমরা পঞ্চায়েত সদস্যদের জানিয়েছিলাম। কিন্তু হাতেনাতে ধরা না গেলে কিছু করা যাচ্ছিল না। আগে বাড়িতে ছেলে-মেয়ে ঢোকালেও কেউ যাতে বুঝতে না পারে তাই পিছনের দিক দিয়ে বের করে দিত। কিন্তু, আমরা এবার খবর পেয়েই চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছিলাম।”
যুগল ধরা পড়তেই তাঁদের আটকে রাখে গ্রামের বাসিন্দারা। খবর যায় পুলিশ। বালুরঘাট থানার পুলিশ গিয়ে দুজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ অভিযুক্ত মহিলাকে পাড়া ছাড়া করতে হবে। তাঁর জন্য তাদের পাড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ এক মহিলা বলছেন, “এই অসভ্য মেয়েকে আমাদের পাড়ায় রাখব না। কালকে আমার ঘরের ছেলে, বরও ওর কাছে যেতে পারে। তাই ওকে এ পাড়াতে রাখা যাবে।”





