Balurghat College: বাঁশ হাতে কলেজে দাপিয়ে বেড়াল TMCP-র ছেলেরা, লাঠি হাতে তেড়ে গেলেন প্রিন্সিপালও
Balurghat College: বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। কলেজের মূল গেটের পাশেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে কলেজ পড়ুয়ারা। আহতরা সকলে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র বলে জানা যাচ্ছে। তবে শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
বালুরঘাট: ছাত্র সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বালুরঘাট কলেজ। বাঁশ হাতে কলেজ চত্বরে দাপিয়ে বেড়াল পড়ুয়ারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে লাঠি হাতে বাইরে বেরিয়ে এলেন কলেজের প্রিন্সিপাল। সংঘর্ষে কলেজের একাধিক পড়ুয়া আহতও হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। উদ্বেগের আবহ গোটা এলাকাতেই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। কলেজের মূল গেটের পাশেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে কলেজ পড়ুয়ারা। আহতরা সকলে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র বলে জানা যাচ্ছে। তবে শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। কিন্তু, ঘটনার সূত্রপাত কোথায়? জানা যাচ্ছে, আসল ঘটনা ঘটেছিল চলতি মাসের ২ তারিখে। বালুরঘাট কলেজের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের পরীক্ষার সিট পড়েছে হিলি গভর্মেন্ট কলেজে। অভিযোগ, পরীক্ষা দিতে ফেরার সময় বাসের মধ্যে অভব্য আচরণ করছিলেন তৃণমূলের ছাত্র নেতারা। সেই সময় কলেজের পড়ুয়া শুভ বর্মন নামে এক ছাত্র ঘটনার প্রতিবাদ করে। শুরু হয়ে যায় বচসা। অভিযোগ, শুভকে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় তৃণমূলের ছাত্র নেতারা।
এরইমধ্যে এদিন বালুরঘাট কলেজে প্রজেক্ট জমা দিতে আসে শুভ। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ওই সদস্যরা তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করতে থাকে। পাল্টা প্রতিরোধও করে শুভ। ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ৫ ছাত্র নেতা সহ শুভ নিজেও আহত হয়। কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ কুণ্ড বলছেন, “অভিযোগ না এলেও দুই পক্ষকে নিয়ে কথা বলেছি। বর্তমানে পুরো বিষয়টি স্বাভাবিক রয়েছে।”
ঘটনায় শুভ বলছে, “আমি কোনও দল করি না। ইউনিয়নের ছেলেরাই আমাকে মেরেছে। হুমকিও দিয়েছিল আগে। এদিন কলেজে ঢুকলেই মারে। ওরা দলে সাত থেকে আট জন ছিল। প্রিন্সিপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।” অন্যদিকে বালুরঘাট কলেজের তৃণমূলের ছাত্র নেতা গৌরব কুমার পাল বলছেন, “আজকে কলেজে যখন আসছিলাম তখন ওর সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। তখনই ও মারধর করে। ছেলেটা ভাল নয়। ও মেয়েদের বাজে কথা বলেছিল। তারই প্রতিবাদ করেছিলাম আমরা। তাতেই আমাদের ৫ জনকে মারে। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি। প্রিন্সিপাল স্যারকে জানিয়েছিলাম। তবে উনি কোনও পদক্ষেপ করেননি।”