Woman harassment: স্বামী না থাকার সুযোগে মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা, লোকলজ্জার ভয়ে বিষ খেলেন গৃহবধূ
Balurghat: এনিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছেও অভিযোগ দায়ের করেছে ওই পরিবার। তবে এখনো অধরা অভিযুক্ত যুবক। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বালুরঘাট থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বালুরঘাট: স্বামী না থাকায় ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা প্রতিবেশী এক যুবকের। বিষয়টি জানাজানি হতেই অপমানে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতীর চেষ্টা করে ওই গৃহবধূ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর (South dinajpur) জেলার বালুরঘাট ব্লকের শালগ্রাম এলাকায়। এদিকে এনিয়ে দিন ১৫ আগে বালুরঘাট থানায় অভিযুক্তের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও এখনও অধরা অভিযুক্ত। অভিযুক্তের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে শনিবার বালুরঘাট থানার দ্বারস্থ হলেন গৃহবধূর বাবা। এনিয়ে জেলা পুলিস সুপারের কাছেও অভিযোগ দায়ের করেছে ওই পরিবার। তবে এখনো অধরা অভিযুক্ত যুবক। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বালুরঘাট থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই গৃহবধূর স্বামী পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। স্বামী ভিন রাজ্য গোয়াতে থাকেন। যার ফলে শ্বশুর ও শাশুড়িকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকেন ওই গৃহবধূ। মহিলার অভিযোগ, প্রতিবেশী এক যুবক মাঝে-মধ্যেই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিতেন। যা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন ওই মহিলা। অভিযোগ, গত ১ মার্চ রাত্রিবেলা ওই যুবক গৃহবধূর ঘরের দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকেন। এরপর তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তাঁর চিৎকারে এলাকাবাসী সেখানে এসে উপস্থিত হন। এদিকে ঘটনা জানাজানি হতেই অপমানে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মহিলা। এরপর জানাজানি হতেই অপমানে কীটনাশক খায় ওই গৃহবধূ। দুইদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরে বর্তমানে অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ওই ঘটনায় গৃহবধূর বাবা ওই অভিযুক্তের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তারপর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত।
এ বিষয়ে ওই গৃহবধূর বাবা বলেন,”আমি দিন দশেক আগে বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু এখনও ওই যুবক গ্রেফতার হয়নি। আমরা জানতে পারছি সে কোথায় আছেন ৷ তবুও কেন গ্রেফতার হচ্ছে না, বুঝে পাচ্ছি না। তাই পুলিশ সুপারের কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আজকে ফের থানাতে এসেছি। আমার মেয়ের সঙ্গে এত বড় অন্যায় করল ওই যুবক, যার জন্য আমার মেয়ে কীটনাশক খেল। তবুও কেন অভিযুক্ত গ্রেফতার হবে না। অভিযুক্ত কোথায় আছে সেটাও বলেছি। কিন্তু কোনও ব্যবস্থায় নিচ্ছে না পুলিশ। তাই হন্যে হয়ে রোজ থানা, পুলিশ অফিসের চক্কর কাটছেন।”
অন্যদিকে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে। তিনি এব্যাপারে বলেন,”বিষয়টি আমার জানা নেই৷ আমি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।”