দার্জিলিঙ: ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত সিকিম। তিস্তার গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়ক, গোটা দেশের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে সিকিম। ক্রমেই বাড়ছে নিখোঁজের সংখ্যা। সিকিমে ঘুরতে গিয়ে বিপর্যস্ত বাংলার বহু পর্যটক। এখনও পর্যন্ত বহু পর্যটকের খোঁজ মিলছে না। দার্জিলিঙের রেল অধিকর্তা এ কে মিশ্রও সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তাঁর নিকট আত্মীয় দু’জনও এই বিপর্যের পর থেকে নিখোঁজ। তাঁর পোস্ট করা ছবির নীচে লিখেছেন, এই দম্পতির নাম অরিজিৎ দত্ত, প্রীতি তিওয়ারি। তাঁরা দিল্লির বাসিন্দা। ২৮ তারিখ তাঁরা দিল্লি থেকে শিলিগুড়িতে পৌঁছন। ২৯ তারিখ দার্জিলিঙে পৌঁছন।
পরিবারের সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে শেষ মঙ্গলবার হোয়াটস্যাপে কনট্যাক্ট করতে পেরেছিলেন। সেই মেসেজের ‘লাস্ট সিন টাইম’ বুধবার বেলা সাড়ে বারোটা। কিন্তু তারপর থেকে তাঁরা নিখোঁজ। ফোনেও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। বুধবার সকালের পর থেকে তাঁদের ফোন ‘নট রিচেবল’।
পরিবারের সদস্যরা দুটি মোবাইল নম্বর দিয়েছেন। কেউ খোঁজ পেলেন 9739413645, 8240519548 নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে এই বার্তা দিয়েছেন রেলের অধিকর্তা।
এখনও পর্যন্ত এই বিপর্যয়ে ১৪ জনের প্রাণহানির খবর মিলছে। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার সকালেও বিপর্যয় হয় উত্তর সিকিমে। ২৯ মাইল এলাকার কাছে বড়সড় ধস নামে। ধসের ফলে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কও সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বহু মানুষকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৫ জনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ২৩ জন জওয়ানের নিখোঁজের খবর ছিল। তাঁদের মধ্যে এক জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে।