AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Siliguri: ২০ মিনিটেই সোনা-হিরে সব লুঠ, বাংলায় ডাকাতির পিছনে ফের বিহার যোগ?

Siliguri: পুলিশ সূত্রে খবর, গত আট মাস ধরে শিলিগুড়ি মহকুমার বিধান নগরে ঘর ভাড়ায় নিয়ে বসবাস করছিল এই ডাকাতদল। দলে মহিলাও রয়েছে। এদের নিয়মিত কাজ ছিল শহরে এসে বড় সোনার দোকানে রেইকি করা।

Siliguri: ২০ মিনিটেই সোনা-হিরে সব লুঠ, বাংলায় ডাকাতির পিছনে ফের বিহার যোগ?
শিলিগুড়িতে ডাকাতিImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 23, 2025 | 1:26 PM
Share

শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে এটিএম (ATM) লুঠে ছিল ইউপি ও বিহারের গ্যাঙ। আর এবার সোনার দোকান লুঠেও ইউপি ও বিহারের গ্যাঙ? অন্তত যে দু’জন ধরা পড়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনটাই দাবি পুলিশের।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত আট মাস ধরে শিলিগুড়ি মহকুমার বিধান নগরে ঘর ভাড়ায় নিয়ে বসবাস করছিল এই ডাকাতদল। দলে মহিলাও রয়েছে। এদের নিয়মিত কাজ ছিল শহরে এসে বড় সোনার দোকানে রেইকি করা। গতকাল যে দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তাদের নাম মহম্মদ শামশেদ ও মহম্মদ সফিক। এরা বিহার ও রাজস্থানের বাসিন্দা। একটি বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেটি পুর্ব মেদিনীপুরের রেজিস্ট্রেশন করা। দলের বাকি সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি চললেও ডাকাতি হওয়া সোনা ও হিরে উদ্ধার হয়নি।

এই ডাকাতির ঘটনার পর একাধিক প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে। বিগত আট মাস ধরে ডাকাতদল বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকলেও কেন টের পেল না পুলিশ? কারা বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন তার তদারকি আদৌ হয় কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। থানাগুলিতে পুলিশের বহু পদ ফাঁকা। সিভিক দিয়ে ট্রাফিক সামাল দিলেও অপরাধ রুখতে নজরদারি কোথায়? সে প্রশ্নও উঠছে।

শিলিগুড়িকে জেলা পুলিশের আওতা থেকে বের করে উন্নত পরিষেবা দিতেই মেট্রপলিট্যান পুলিশে রূপান্তর করা হয়েছিল। এখানে শুধু শিলিগুড়ির জন্যে ডিআইজি পদমর্যাদার পুলিশ কমিশনার ছাড়াও এসপি র‍্যাঙ্কের একাধিক ডিসি রয়েছেন। তারপরেও ভীন রাজ্যের লুঠেরাদের অবাধ গতিবিধি প্রশ্ন তুলছ। ডাকাত দলের প্রত্যকের কাছেই দু’টি করে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। এত আগ্নেয়াস্ত্র শিলিগুড়িতে কীভাবে মজুত, সে প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। ব্যবসায়ী সমিতির চেয়ারম্যান বিজয় কুমার গুপ্তা বলেন, “আমি নিজে জানি পুলিশের কোনও মাথা ব্যথা নেই। কারা এসে থাকছে ভেরিফাই করার নিয়ম থাকলেও তা করা হয় না। সিস্টেম ফলো করার প্রয়োজন। আট মাস ধরে ডাকাতরা এখানে ছিল। পুলিশ কিছুই জানত না? ওরা যদি আরও সতর্ক থাকত তাহলে এমনটা হত না। বাইরের রাজ্য থেকে বারেবারে এসে এখানে থাকছে, পুলিশ জানেই না। আর এরা তো মেট্রোপলিটন পুলিশ। অথচ কী কাজ করছেন?”

উল্লেখ্য, গতকাল শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোড সোনার দোকেন ভরদুপুরে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সব মিলিয়ে ২০ কোটি টাকার গয়না ও হিরে লুঠের অভিযোগ। চার পাঁচ জনের একটি দল আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ডাকাতি চালায় বলে অভিযোগ।