
মিরিক: প্রকৃতির রুদ্ররোষে উত্তরবঙ্গ। বিধ্বস্ত মিরিক। এসেছে একের পর এক মৃত্যুর খবর। বিপর্যস্ত এলাকা পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভয়ঙ্কর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মেচি ধারাগাঁতে। ঢুকছে না গাড়িও। তাই পায়ে হেঁটে গোটা এলাকা ঘুরে দেখলেন, এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললেন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজু, ছিলেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাও। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রসঙ্গ উঠতেই কার্যত আক্ষেপের সুরে বললেন, “ওনার তো অন্য ব্যাপার। উনি তো আগের মমতা, এগারো সালের আগের মমতা আর নেই, বদলে গিয়েছেন। অনেক বদল হয়ে গিয়েছে।”
এদিকে একদিন আগেই উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা গিয়েছিল বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে। জখম হয়ে যেতে হয়েছে হাসপাতালেও। তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে চলছে জোরদার চর্চা। এনআইএ তদন্তের দাবি করছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর সাফ কথা, “যাঁরা গতকাল এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাঁরা পাতালেও যদি ঢুকে থাকেন তাহলে আমাদের সরকার তাঁদের আইনি ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে টেনে বের করবে।”
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ অবস্থা নিয়ে বারবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন পদ্ম নেতারা। কটাক্ষের সুরেই শমীক যেমন বলছেন, ‘এটা তৃণমূল মেড বন্যা’। অন্যদিকে শুভেন্দুর দাবি, বারাবারের মতো পাহাড় এবার বঞ্চিত। পাহাড়ের লোক ভোট দেয় না বলেই তাঁদের কথা ভাবছে না তৃণমূল সরকার। শুভেন্দু বলছেন, “রাজ্য সরকার মানবিকভাবে এটা ভাবছেন না বলেই এটা হচ্ছে। জনতার কাছে আর মিডিয়ার কাছে ভাবমূর্তি ঠিক রাখার জন্য একটা ছোট ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু হৃদয় দিয়ে যেটা করা দরকার, সেই সেবার কাজ রাজ্য সরকার করছে না।”