Jagdeep Dhankhar: ‘আমলারা জনতার নয়, সরকারের দাস’ বিস্ফোরক রাজ্যপাল

Siliguri: রাজ্যপালের এই মন্তব্যের জেরে যে ফের রাজ্য-রাজভবন সংঘাত সূচনা হতে পারে তা অস্বীকার করছেন না রাজনৈতিক মহল।

Jagdeep Dhankhar: 'আমলারা জনতার নয়, সরকারের দাস'  বিস্ফোরক রাজ্যপাল
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 12, 2021 | 2:43 PM

শিলিগুড়ি: সপ্তমীর সকালেই উত্তরবঙ্গ সফরে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। ভোট পরবর্তী সময়ে, সফরের পর এই তাঁর দ্বিতীয় সফর। মঙ্গলবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে সরাসরি ফের রাজ্য সরকারকেই নিশানা করলেন ধনখড়। ফের স্পষ্ট হল রাজ্য-রাজভবন সংঘাত।

সকলকে দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি রাজ্যসরকারকে (State Government) নিশানা করতে ছাড়লেন না রাজ্যপাল। ধনখড় এদিন বলেন, “আমি অত্যন্ত বিব্রতবোধ করছি। গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই হিংসা ও শোষণতন্ত্রের এমন বীভত্‍স প্রকাশ। রাজ্যে আইপিএস অফিসাররাও ঠিক করে কাজ করছেন না। এমনকী মুখ্যসচিব পর্যন্ত…। রাজ্যে আমলাতন্ত্র এখন রাজনৈতিক দলের দাস। আমলারা জনতার জন্য নয়, সরকারের জন্য কাজ করেন। তাঁরা সরকারের দাস। সাধারণ মানুষ তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। সাংবিধানিক প্রধান হয়ে আমি এটুকুই বলতে পারি।”

রাজ্যপালের এই মন্তব্যের জেরে যে ফের রাজ্য-রাজভবন সংঘাত সূচনা হতে পারে তা অস্বীকার করছেন না রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ভবানীপুর উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিতর্কের জল হাইকোর্ট অবধি গড়ায়। রাজ্যের মুখ্য়সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীর ‘বিশেষ অনুরোধেই’ কার্যত তড়িঘড়ি ভবানীপুর উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। জেতা আসনে কেন নির্বাচন? কেন অধিক অর্থব্যয়? এমন নানা প্রশ্ন তোলে আদালত। পরে যদিও সেই মামলায় স্থগিতাদেশ জারি হয়।

পরবর্তীতে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়লাভের পর তাঁর শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করেই জটিলতা দেখা দেয়। মুখ্যমন্ত্রীকে কে শপথবাক্য় পাঠ করাবেন তা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। কারণ, রাজভবন থেকে আগত চিঠি। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অধ্যক্ষকে শপথবাক্য পাঠ করানোর যে অধিকার রাজ্যপাল স্পিকারকে দিয়েছিলেন তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। অর্থাত্‍, নির্বাচিতদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপালই। ফলে, পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে দেখে পাল্টা  রাজভবনে চিঠি পাঠানো হয় বিধানসভা থেকে। যা নিয়ে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় তীব্র জলঘোলা। যদিও পরে, রাজ্যপাল জানিয়ে দেন তিনি বিধানসভা ভবনেই শপথবাক্য অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি।

কিন্তু, সে সংঘাত মিটলেও ফের নতুন করে রাজ্যপালের এই মন্তব্য স্পষ্ট, সংঘাতের ‘শেষ হয়েও হইল না শেষ’। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন করেছিলেন রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankar)। কেন্দ্রীয়  গোয়েন্দা সংস্থার হাতে হিংসা তদন্তের দায়ভার তুলে দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যাপালের এভাবে জেলা থেকে জেলা পরিদর্শন ভাল চোখে দেখেনি মমতা-সরকার। তবে, উল্লেখযোগ্য ভাবে, গত এক দেড় মাসে রাজ্যপালের টুইটে সে ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কিংবা পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে কোনও আত্মমনাত্মক লেখা নজরে আসেনি। বরং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদানের ভিডিয়ো টুইট করতেই বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন তিনি। অথচ অতীতে বার বার রাজ্যের সমালোচনায় ‘টুইট অস্ত্রে’ই শান দিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে নানা মহলে চর্চাও চলে নিয়মিত। এ বার ফের এ হেন মন্তব্যের জেরে যে কার্যত রাজ্য়কেই নিশানা করলেন ধনখড় তা চোখ এড়ায়নি রাজনৈতিক মহলের।

আরও পড়ুন: Jalpaiguri: সরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভদের দাপাদাপি কেন? প্রশ্ন তুলতেই জখম সাংবাদিক

 আরও পড়ুন: CM Mamata Banerjee: বাতিল জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক, আকাশপথেই বন্যা কবলিত বাঁকুড়া দর্শন মুখ্যমন্ত্রীর