Elephant: সাজুগুজু করছিল কুনকি হাতি, পুজোয় যাবে; আচমকাই ভয়ঙ্কর কাণ্ড…
Dhupguri: বিশ্বকর্মা পুজোর দিন গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ধূপঝোরা হাতি পিলখানায় হাতি পুজোর আয়োজন করা হয়। বনকর্মী, বনাধিকারিক থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ এমনকী পর্যটকরাও হাজির সকাল সকাল। হাতি পুজোর আগে সাজানো চলছিল হাতিদের।
ধূপগুড়ি: চেনা হাতের স্পর্শ, তবু হঠাৎই তিরিক্ষি মেজাজে ফুঁসে উঠল কিরণরাজ। তেড়ে এসে একেবারে ধাক্কা ডাক্তারকে। বিপদ বুঝে কোনওমতে পড়ি কী মরি করে ছুটে প্রাণে বাঁচলেন পশু চিকিৎসক শ্বেতা মণ্ডল। বিশ্বকর্মা পুজোর সকালে এ এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হল তাঁর। কুনকি হাতি কিরণরাজের শুঁড়ের ধাক্কায় হুমড়ি খেয়ে একেবারে মাটিতে পড়ে যান ওই চিকিৎসক। মেটলি ব্লকের ধূপঝোরায় একেবারে হইহই পড়ে যায়। পরে বাধ্য হয়েই পিলখানায় রেখে আসতে হয় ওই কুনকি হাতিকে।
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ধূপঝোরা হাতি পিলখানায় হাতি পুজোর আয়োজন করা হয়। বনকর্মী, বনাধিকারিক থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ এমনকী পর্যটকরাও হাজির সকাল সকাল। হাতি পুজোর আগে সাজানো চলছিল হাতিদের। সে সময় প্রাণী চিকিৎসক শ্বেতা মণ্ডল বন দফতরের কুনকি হাতি কিরণরাজকে আদর করতে এগিয়ে যান। আচমকা রেগে ওঠে কুনকি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একেবারে শুঁড় উঁচিয়ে ধেয়ে আসে সে। কোনওমতে প্রাণে বাঁচেন শ্বেতা। তবে তাঁর শরীরের বেশ কিছু জায়গায় আঘাত লাগে। থুতনিতে আঘাত লাগে। আরও বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার ছিল বলে মনে করছেন পশুপ্রেমীরা।
এদিকে সাজগোজ করানো হলেও এরপর আর হাতি পুজোয় বসানো হয়নি কিরণরাজকে। বিশ্বকর্মার বাহন হাতি। তাই প্রতিবছর এই দিনটিতে জ্যান্ত হাতি পুজোর আয়োজন করা হয় বনদফতরের তরফে। ডুয়ার্সের গরুমারা জাতীয় উদ্যান, ধূপঝোরা, মেদলা ক্যাম্প, গরাতি ক্যাম্প, টন্ডু ক্যাম্পে থাকা ২৯টি কুনকি হাতিকে এদিন পুজো করা হয়। সেই পুজোর আগ মুহূর্তেই এই ঘটনা ঘটে।