AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pahalgam Attack: ‘যে কোনও সময়ে ওঁদের মগজ ধোলাই হতে পারে’, ভারতের মেয়েদের নিয়ে বড় আশঙ্কা

Pahalgam Attack: "যে সমস্ত মহিলারা ভারতে রয়ে গিয়েছেন বটে, তাঁদের টানটা স্বামীর সঙ্গে পাকিস্তানেই চলে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক-দু শতাংশকে যদি মগজ ধোলাই করতে পারে আইএসআই-রা, তাহলে কিন্তু সেটা আমাদের জন্য একটা থ্রেট হয়েই থাকছে। স্বামীদের সঙ্গে ছেলেমেয়ারা চলে গেল, স্ত্রীরা এখানে থেকে গেল, ফলে যোগাযোগ তো থেকেই যাচ্ছে।"

Pahalgam Attack: 'যে কোনও সময়ে ওঁদের মগজ ধোলাই হতে পারে', ভারতের মেয়েদের নিয়ে বড় আশঙ্কা
পাকিস্তানিদের ভারতীয় বউImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 27, 2025 | 7:56 PM
Share

শিলিগুড়ি: ভারত সরকারের দেওয়া ডেডলাইন। ভারত ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে চলে যেতে হল পাকিস্তানি স্বামীদের। আর এদেশে থেকে গেলেন তাঁদের ভারতীয় স্ত্রীরা। রবিবার সকাল থেকে এহেন একাধিক দৃষ্টান্ত সামনে এসেছে। পাকিস্তানে বিয়ে হলেও এতদিন ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করেই তাঁরা দু’দেশে যাতায়াত করেছেন। তাঁদের নিয়েও শঙ্কার মেঘ গোয়েন্দাদের।

গোয়েন্দাদের দাবি, এই মহিলারা সকলেই ভারতীয়। ফলে সেদিক থেকে দেখলে সব ঠিকই আছে। কিন্তু এদের একটা অংশকে মগজ ধোলাই করে কাজে লাগাতে পারে পাক গোয়েন্দাসংস্থা আইএসআই। এই সমস্যা ভৌগলিক সীমারেখার ক্ষেত্রে যতটা মানবিক, তেমনি দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বড় প্রশ্ন চিহ্ন হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই মনে করছেন গোয়েন্দাদের একাংশ। এবিষয়ে TV9 বাংলা কথা বলেছিল প্রাক্তন সিআইডি অফিসার গৌতম ঘোষালের সঙ্গে। ঠিক কোন ধরনের আশঙ্কার কথা বললেন তিনি?

প্রাক্তন সিআইডি কর্তার বক্তব্য, “যে সমস্ত মহিলারা ভারতে রয়ে গিয়েছেন বটে, তাঁদের টানটা স্বামীর সঙ্গে পাকিস্তানেই চলে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক-দু শতাংশকে যদি মগজ ধোলাই করতে পারে আইএসআই-রা, তাহলে কিন্তু সেটা আমাদের জন্য একটা থ্রেট হয়েই থাকছে। স্বামীদের সঙ্গে ছেলেমেয়ারা চলে গেল, স্ত্রীরা এখানে থেকে গেল, ফলে যোগাযোগ তো থেকেই যাচ্ছে।” প্রাক্তন কর্তার মতে, “আইএসআই-রা তো এই দুর্বল পয়েন্টগুলোকেই খুঁজে বার করে, যাতে মগজ ধোলাই করা সহজ হয়। যদি ওরা এক-দু শতাংশকেও ব্যবহার করতে পারে, তাহলে সেটা বিগ থ্রেট টু ইন্ডিয়া। এই মহিলাদের দ্বারা এখানে আরেকটা স্লিপার সেল তৈরি হবে না, সেটা তো কেউ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবে না।”


তাহলে উপায়? প্রাক্তন সিআইডি কর্তার মতে, “উপায় হচ্ছে তাদেরকে নজরদারির আওতায় আনা। আমরা তাঁদের চিহ্নিত করতে পারি, কারণ পাসপোর্ট রয়েছে, স্বামীর সঙ্গে পাকিস্তানে ঘুরে এসেছে, সেক্ষেত্রে তাঁদের ওপর নজরদারি রাখাটাও অনেক বেশি সহজ। যদি না রাখা হয়, ভারতের পক্ষে ভুল হবে।”