Anamika Roy: ববিতার চাকরিটিই কেন দাবি করেছিলেন? চাকরি পেয়ে জানালেন অনামিকা

কলকাতা: বাতিল হল ববিতা সরকারের চাকরি। সেই চাকরি পেলেন অনামিকা রায়। মঙ্গলবার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) একক বেঞ্চ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে যে তথ্য আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল, মঙ্গলবার সেই সকল তথ্য খতিয়ে দেখে ববিতা সরকারের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেয় আদালত। ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর কম ছিল। ফলে সব দিক বিবেচনা করে ববিতার চাকরি বাতিল করার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একইসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মামলাকারী অনামিকা রায়কে চাকরি দেওয়ার জন্য।

এ দিন টিভি ৯ বাংলাকে প্রথম সাক্ষাৎকার দেন অনামিকা রায়। বলেন, “খুবই আনন্দিত। প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিলাম।” সঙ্গে  বলেন, “অ্যাকাডেমিক স্কোরে আমি ২১ ছিলাম। ববিতা ছিলেন ২০। অঙ্কিতা চলে আসায় এক এক করে র‌্যাঙ্ক পিছিয়ে যায়। তখন ববিতা সরকারের হয়ে যায় ২১ আর আমার ২২। অঙ্কিতা অধিকারী চলে যাওয়ার পর আমরা পুনরায় র‌্যাঙ্ক জানতে পারি। এরপর ববিতার চাকরি পাওয়ার পর ওর প্রাপ্ত নম্বরের একটি র‌্যাঙ্ক ভাইরাল হয়। সেখানে দেখি ববিতার স্কোর আমার থেকে ২ নম্বর কম। ববিতার স্নাতকের প্রাপ্ত নম্বর যেখানে ৫৫ শতাংশ হয় সেই জায়গায় দেখি ৬০ শতাংশের বেশি। তবে ৬০ শতাংশ হওয়ার দরুন উনি ২ নম্বর বেশি পান। কিন্তু সেখানে ৬০ শতাংশ হয় না। ৫৫ শতাংশ হয়। ফলে ২ নম্বর কমে যায়। সেই জায়গায় চাকরি আমার পাওয়ার কথা।” অনামিকা জানান, আমি প্রথম টিভি ৯ বাংলার তরফে জানতে পাই। আমি খুব খুশি। এই দিনটার জন্যই অপেক্ষা। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের বলব, হয়ত দেরী হচ্ছে। তবে তাঁরা প্রত্যেকে চাকরি পাবেন।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ চার বছরের অপেক্ষার পর চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিল হওয়ার পর সেই জায়গায় চাকরি পান তিনি। তবে তা বেশিদিন স্থায়ী হল না। ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর কমের অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন আর এক চাকরি প্রার্থী অনামিকা রায়। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয় ববিতার। তাঁর জায়গায় চাকরি পেলেন অনামিকা রায়।