Durgapur Barrage: আরও কমানো হল দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ, পরিস্থিতি ফেরার আশা

Durgapur Barrage: রবিবার সকালে আরও কমানো হয় জল ছাড়ার পরিমাণ। রবিবার সকালে ছাড়া হয় ১,১২,১০০ কিউসেক হারে জল।

Durgapur Barrage: আরও কমানো হল দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ, পরিস্থিতি ফেরার আশা
দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে কমানো হল জল ছাড়ার পরিমাণ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 04, 2021 | 7:38 AM

TV9 বাংলা: দুর্গাপুর ব্যারাজ (Durgapur Barrage) থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও কমানো হল । রবিবার সকালে ছাড়া হচ্ছিল ১,১২,১০০ কিউসেক জল । রবিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হয় ১,০৪,৪০০ কিউসেক জল ।

নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে দফায় দফায় কমানো হচ্ছে জল ছাড়ার পরিমাণ । শনিবার সন্ধ্যেয় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হচ্ছিল ১,২৬,২০০ কিউসেক জল । রবিবার সকালে আরও কমানো হয় জল ছাড়ার পরিমাণ। রবিবার সকালে ছাড়া হয় ১,১২,১০০ কিউসেক হারে জল। রবিবার সন্ধ্যেয় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হচ্ছে ১,০৪,৪০০ কিউসেক জল। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধীরে ধীরে আরও কমানো হবে জল ছাড়ার পরিমাণ।

গত ১২ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রকোপ কিছুটা কমেছে। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে অতি বৃষ্টির জেরে ডুবতে বসেছে এ রাজ্যের একাধিক জেলা। জলাধারগুলি থেকে হু-হু করে জল ছাড়ছে ডিভিসি। ফলে যা হওয়ার হয়েছে সেটাই। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের বেশ কিছু অংশ-সহ বাঁকুড়া, হুগলি ও হাওড়ার একাধিক ব্লক পুরোপুরি জলের তলায়।

রাজ্যের বন্যা উপদ্রুত জেলাগুলির মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বৈঠকেই বন্যা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেনা নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মোট ৩ জেলায় ৮ কলম সেনা আপাতত নামানো হয়। ৩ কলম করে সেনা পশ্চিম বর্ধমান ও হুগলিতে, বাকি ২ কলম সেনা হাওড়া জেলায়।

প্রায় ৮ লক্ষ মানুষকে উপদ্রুত এলাকা থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে। চলতি বছর জল ছাড়ার রেকর্ড ভেঙে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে বর্তমানে ২ লক্ষ ৩১ হাজার ২৪৮ কিউসেক জল ছাড়া হয়। ফলে বাঁকুড়া, হাওড়া এবং হুগলির আরও বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা আরও বাড়ে।

বানভাসি বাংলায় ‘ম্যান মেড’ তত্ত্ব আগেই খাড়া করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি, ঝাড়খণ্ডের বৃষ্টিকেও দায়ী করেছেন বাংলার বন্যা পরিস্থিতির জন্য। এবার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ফের দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের (DVC) বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগলেন তিনি। পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝালেন ঠিক কত কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। এই বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসি-র কাছে ক্ষতিপূরণ (Compensation) চাইতে হতে পারে বলেও উল্লেখ করলেন মমতা। আরামবাগে (Arambagh) গিয়ে তিনি বলেন, ‘ডিভিসির কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে হতে পারে।’ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘সব টাকা তো জলেই চলে যাচ্ছে।’

মমতা আরামবাগে দাঁড়িয়ে বলেন, ডিভিসি আর খাড়খণ্ডের জন্যই বাংলায় এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাঁর দাবি, ডিভিসির যদি বছরে চারবার এভাবে জল ছাড়ে, তাহলে বহু মানুষের ক্ষতি হয়। তিনি বলেন, ‘সব টাকা তো জলেই চলে যাচ্ছে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, যে এলাকায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেখানে মানুষ সারাতে না সারাতেই আবার ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Domestic Violence: প্রত্যেক দিনের অত্যাচার উকিল স্বামীর, ইদানীং যোগ দেন শ্বশুরও! বাড়িতেই নিগৃহীত যাদবপুরের অধ্যাপিকা