AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Domestic Violence: প্রত্যেক দিনের অত্যাচার উকিল স্বামীর, ইদানীং যোগ দেন শ্বশুরও! বাড়িতেই নিগৃহীত যাদবপুরের অধ্যাপিকা

Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি ভাষার অস্থায়ী অধ্যাপিকাকে শারীরিক ও মানষিক নিগ্রহের অভিযোগ উকিল স্বামীর বিরুদ্ধে।

Domestic Violence: প্রত্যেক দিনের অত্যাচার উকিল স্বামীর, ইদানীং যোগ দেন শ্বশুরও! বাড়িতেই নিগৃহীত যাদবপুরের অধ্যাপিকা
গার্হস্থ্য হিংসার শিকার যাদবপুরের অধ্যাপিকা (অভিযোগপত্র)
| Edited By: | Updated on: Oct 04, 2021 | 7:18 AM
Share

কলকাতা: গার্হস্থ্য হিংসার (Domestic Violence) শিকার খোদ অধ্যাপিকা। স্বামীর অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেতে মধ্যরাতে ১০০ নম্বর ডায়াল করে পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) অধ্যাপিকা । অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি ভাষার অস্থায়ী অধ্যাপিকাকে শারীরিক ও মানষিক নিগ্রহের অভিযোগ উকিল স্বামীর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে যেতেও বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে। রিজেন্ট পার্ক থানায় ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অধ্যাপিকা।

পুলিশ সূত্রে খবর, টালিগঞ্জের পূর্ব পুটিয়ারি পেয়ারা বাগানের বাসিন্দা ওই অধ্যাপিকার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কর্মরত। তাঁর স্বামীও পেশায় উকিল। তাঁদের এক বছর ১৪ বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে।

নির্যাতিতা অধ্যাপিকার অভিযোগ, তাঁর স্বামী ও শ্বশুর প্রায়শই নানান ভাবে শারীরিক অত্যাচার করেন। এমনকি তিনি বাড়িতে প্রতিনিয়ত মানসিক অত্যাচারেরও শিকার বলে জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেও তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রতিদিনই চলে অত্যাচার। রবিবার তা চরমে পৌঁছয়।

মাঝরাতে ওই অধ্যাপিকা ১০০ ডায়াল করে লালবাজারে পুলিশের সাহায্য চান। তারপর লালবাজারের নির্দেশ মত রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ গিয়ে নির্যাতিতা অধ্যাপিকা ও তাঁর ছেলেকে উদ্ধার করেন। ঘটনায় রিজেন্ট পার্ক থানার অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা অধ্যাপিকা। তারপর গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন রিজেন্ট পার্ক থানার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা।

নির্যাতিতা অধ্যাপিকার বক্তব্য, “অত্যাচার দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। ইদানীং বাড়াবাড়ি হয়। রবিবার তা মাত্রা ছাড়ায়। আমাকে কাজে যেতেও বাধা দেওয়া হত। বিভিন্ন কারণে অশান্তি। মানসিকভাবে আমি বিধ্বস্ত। অনেকসময় শারীরিক অত্যাচারেরও শিকার হয়েছি। প্রথমে ভাবতাম আপোস করলে বিষয়টি মিটে যাবে। কিন্তু এখন আর পারা যাচ্ছিল না। তাই পুুলিশের সাহায্য চাইলাম।”

তাঁর কথায়, “প্রথমে কিছু বুঝতে পারছিলাম না কী করব। মাথায় আসল ১০০ নম্বর ডায়াল করি। সেখানেই সব বলি। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই রিজেন্ট পার্ক থানা থেকে পুলিশ আসে।”

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, লালবাজার থেকে নির্দেশ আসে। খবর পেয়ে ওই এলাকায় যাওয়া হয়। সেখান থেকেই অধ্যাপিকা ও তাঁর ছেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অধ্যাপিকার বয়ান নেওয়া হয়েছে। তাঁর স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদেরও বক্তব্য শোনা হবে।

তবে এখনও পর্যন্ত ওই অধ্যাপিকার স্বামী ও শ্বশুরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগের প্রতিলিপি TV9 বাংলার হাতে এসেছে। তবে এইভাবে একজন শিক্ষিত মহিলাকে যেভাবে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হতে হচ্ছে, যিনি এক জন অধ্যাপিকা, তাতে ফের সমাজের বুকে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

আরও পড়ুন: Bhabanipur Bypoll Results 2021: বিপুল ভোটে জয় পেয়েও কুণাল-অনুব্রতদের ‘ভাষা-সন্ত্রাস’!

আরও পড়ুন: RG Kar Medical College: এবার অনশনে বসলেন পড়ুয়ারা! অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আবারও উত্তপ্ত আরজি কর