AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সিপিএম-বিজেপি ও কংগ্রেস ঘুরে এ বার তৃণমূলে যোগ দিতে চান লক্ষ্মণ শেঠ

তাঁর এই মনোবাসনা অবশ্য অনেকদিনের। তবে এমন একটা সময়ে তিনি পুরনায় শাসকদলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন, যখন শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া বসনে ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে দাঁত-নখ বের করে আক্রমণ করছেন।

সিপিএম-বিজেপি ও কংগ্রেস ঘুরে এ বার তৃণমূলে যোগ দিতে চান লক্ষ্মণ শেঠ
নিজস্ব চিত্র
| Updated on: Jun 03, 2021 | 6:39 PM
Share

কলকাতা: আর রেখেঢেকে নয়। সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেস ছেড়ে এ বার প্রকাশ্যে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করলেন তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ। তাঁর এই মনোবাসনা অবশ্য অনেকদিনের। তবে এমন একটা সময়ে তিনি পুরনায় শাসকদলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন, যখন শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া বসনে ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে দাঁত-নখ বের করে আক্রমণ করছেন। দৌর্দণ্ডপ্রতাপ এই লক্ষ্মণ শেঠের বিরুদ্ধের একদা ক্রমাগত রাজনৈতিক লড়াই লড়ে পূর্ব মেদিনীপুরে নিজের জমি শক্ত করেছিল অধিকারী পরিবার।

লক্ষ্মণের সাফ কথা, তৃণমূল বাদে বর্তমানে সমস্ত রাজনৈতিক দল বাংলার বুকে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। ঘাসফুলের বিকল্পও কেউ নেই। TV9 বাংলাকে এ দিন তিনি জানিয়েছেন, “আমার ইচ্ছা তৃণমূলেই যোগ দেওয়ার। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে আর কোনও দল নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের বিকল্প কেউ নেই আর। বামফ্রন্ট, সিপিআইএম, কংগ্রেসের মতো দলগুলি এখানে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে কী ভাবে রাজনীতি করতে হয়, তা এই দলগুলো ঠিকমতো উপলব্ধি করতে পারেনি।” এরপরই তৃণমূল সুপ্রিমোকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “তৃণমূল কংগ্রেস, বিশেষ করে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদীয় গণতন্ত্রের উপযোগী হয়ে উঠেছেন এবং সেই ভাবে কাজ করছেন।”

আরও পড়ুন: বিধানসভায় বড় দায়িত্ব থাকছে বিজেপির হাতে, ৪১-এর মধ্যে ১০ টি কমিটি পাচ্ছেন শুভেন্দুরা

এক সময় বলা হত, তমলুক, কোলাঘাট-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের একটা বড় অংশে লক্ষ্মণ শেঠের নামে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খায়। এতটাই প্রভাব ছিল তাঁর। কিন্তু শুভেন্দু কার্যত একার হাতেই সেই প্রতাপ ধুলোয় মিশিয়ে পালাবদলের বছরে ঘাসফুল ফোটান একদা বাম গড়ে। তারপর নানা অসাধু কাণ্ডে নাম জড়ানোয় দল থেকে বহিষ্কার করা হয় লক্ষ্মণকে। বছর কয়েক পর আচমকাই সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। যোগ দেন বিজেপিতে। কিন্তু সেই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পদ্ম শিবির ত্যাগ করেন।

এরপর লক্ষ্মণ শেঠ যোগ দেন কংগ্রেসে। পরিচিত মুখ হওয়ার সুবাদে অল্প সময়েই দলে বেশ গুরুত্ব পেতে শুরু করেন। এমনকি, ২০১৯ লোকসভা ভোটে হাতের টিকিটেই তমলুক লোকসভা আসনে লড়েন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। সময়ের সঙ্গে ক্রমশ হারিয়েই যেতে বসেছিলেন তিনি। এ বার অবশেষে প্রকাশ্যে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন।

আরও পড়ুন: ৩ ঘণ্টার জন্য খুলবে রেস্তোরাঁ-পানশালা, শীঘ্রই খুলছে শপিং মলও! বণিক সভার বৈঠকে ছাড়পত্র মমতার