Kalbaisakhi: কোথাও উপড়ে গেল গাছ, কোথাও উড়ে গেল বাড়ির চাল! সব তছনছ করে দিল কালবৈশাখী
Kalbaisakhi: মঙ্গলবার বিকালে কালবৈশাখীর দাপটে মেদিনীপুরে এক্কেবারে জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে ভেঙে পড়ে প্রকাণ্ড দু’টি গাছ। চাপা পড়ে যায় অন্তত ১০টি গাছ। শহরের অন্যান্য জায়গাতেও ভেঙে পড়েছে ছোট ছোট গাছের ডাল।

মেদিনীপুর-গোসাবা-মালদহ: বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই কালবৈশাখীর দাপট জেলায় জেলায়। বাঁকুড়া থেকে গোসাবা, মেদিনীপুর থেকে মালদহ, কিছু সময়ের ঝড়েই লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল একাধিক এলাকা। সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার নানা প্রান্তে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। প্রায় ৪০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলে বৃষ্টি। তাতে তীব্র দাবদহের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আম-আদমি। অন্যদিকে এদিন দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতে না হতেই বিধ্বংসী ঝড়ের ছবি দেখা যায় গোসাবায়। আচমকাই ঝড় শুরু হয় সুন্দরবনের এই উপকূলবর্তী এই দ্বীপাঞ্চলে। তারই মাঝে পড়ে যায় একটি যাত্রী বোঝাই নৌকা।
বাসন্তীর গদখালির দিক থেকে গোসাবা জেটি ঘাটের দিকে আসছিল ওই যাত্রীবাহী নৌকা। ঠিক তখনই প্রায় ৬০ জন যাত্রী নিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাটি। ঝড়ের দাপটে যে কোনও মুহূর্তে উল্টে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। নদীর পাড়ে গাছের ডাল ধরে আত্মরক্ষার চেষ্টা করতে দেখা যায় যাত্রীদের। তবে শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে, কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি বলেই জানা যায়। সব যাত্রীই সুস্থ রয়েছেন।
অন্যদিকে মঙ্গলবার বিকালে আবার কালবৈশাখীর দাপটে মেদিনীপুরে এক্কেবারে জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে ভেঙে পড়ে প্রকাণ্ড দু’টি গাছ। চাপা পড়ে যায় অন্তত ১০টি গাছ। শহরের অন্যান্য জায়গাতেও ভেঙে পড়েছে ছোট ছোট গাছের ডাল। ঝড়ের দাপট দেখা গিয়েছে উত্তরবঙ্গেও। মালদহে তো কয়েক মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় হরিশচন্দ্রপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। উড়ে যায় অসংখ্য বাড়ির চাল। ভেঙে পড়ে প্রচুর গাছ। উপড়ে যায় বিদ্যুতের খুঁটি। নামে অন্ধকার নামে বড় এলাকায়। তছনছ হয়ে যায় বরুই অঞ্চলের পেমা, রাণিটোলা, মল্লিকপুর, মিঠাপুকুর, গিধিনপুকুর ও বাকুপাড়া সহ বিভিন্ন গ্রাম।
