“সংবাদমাধ্যম আমার হয়ে কাজ করলে ভাল, না হলেই গালমন্দ”! এবার মহুয়াকে বিঁধলেন তৃণমূলের বিধায়ক
তিনি বলেন, "একজন শিক্ষিতা সাংসদ হয়ে তাঁর কাছ থেকে এমন মন্তব্য আসা করা যায়না।"
হুগলি: তাঁর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দল যে তাঁর পাশে নেই, ইতিমধ্য়েই তা স্পষ্ট। ‘দু’ পয়সার সাংবাদিক’ বিতর্কে এবার মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরোধিতা করলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক তথা প্রাক্তন সাংবাদিক প্রবীর ঘোষাল।
তিনি বলেন, “একজন শিক্ষিতা সাংসদ হয়ে তাঁর কাছ থেকে এমন মন্তব্য আশা করা যায় না।” কিছুটা কটাক্ষের সুরেই তিনি বলেন, “সাংবাদিক, সংবাদমাধ্যম আমার হয়ে কাজ করলে ভাল, আমার পছন্দ না হলে তাঁদের গালমন্দ করব, এটা অনভিপ্রেত।” কথা বলতে গিয়ে নিজের কেরিয়ারের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। জানান, রাজনীতিতে আসার আগে ৩৪ বছর সাংবাদিকতা করেছেন তিনি। বলেন, “আমি সাংবাদিকতা করেছি টানা ৩৪ বছর। এখন আমি এখন জনপ্রতিনিধি। আমার দুটো সত্তা থেকেই বলছি এই মন্তব্য নিন্দনীয়। সবার নিন্দা করা উচিত। আমার মনে হয় মুখ্যমন্ত্রী কখনই এই কাজকে সমর্থন করবেন না।”
উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দল যে তাঁর পাশে নেই, তা স্পষ্ট জানিয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মহুয়া কী বলেছে আমি জানি না। আমি খতিয়ে দেখিনি। তবে এটুকু বলতে পারি, এটা ওঁর কথা। আমাদের দলের কথা নয়। আমাদের দল এবং দলনেত্রী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলেন। হৃদ্যতা বজায় রেখেই আমরা চলি। যাঁরা জানেন, তাঁরা জানেন।”
গোটা বিতর্কের সূত্রপাত হয় গত রবিবার। সেদিন নদিয়ার গয়েশপুরে তৃণমূলের কর্মিসভায় অংশ নিতে হাজির হন মহুয়া মৈত্র। কিন্তু সাংসদের সামনেই ‘বহিরাগত’ বিতর্ক নিয়ে তুমুল কোন্দল লাগে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কিল-ঘুষি চলতে থাকে মহুয়ার সামনেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে একজন সাংবাদিককেই বিতর্কিত মন্তব্য় করে বসেন তিনি।
এরপর মনে করা হয়েছিল তিনি ক্ষমা চাইবেন। সোমবার একটি টুইটও করেছেন মহুয়া মৈত্র। তবে একটি মিম পোস্ট করেন তিনি। সেই মিম-এ একদিকে দু’পয়সার একটি ছবি দেখা যাচ্ছে। আর পাশে লেখা, ‘কঠিন, বেদনাদায়ক এবং সঠিক কথা বলার জন্য আমি দুঃখিত।’ এই মিমটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘আমার মিম এডিট করার ক্ষমতা ক্রমশ বাড়ছে।’
আরও পড়ুন: বিজেপি নিজের মিছিলে নিজেই লোক মারে, বিস্ফোরক মমতা
এই মিমটি দেখে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, মহুয়া বুঝিয়েই দিয়েছেন যে তিনি গতকাল যে ভাষায় সংবাদ মাধ্যমকে আক্রমণ করেছিলেন, তার জন্য সঠিক অর্থে অনুতপ্ত নন। ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী’ লিখলেও সেটাও যে একপ্রকার ‘তামাশা’ করেছেন, তাও সহজেই বোঝা যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।